কালার ইনসাইড

রবিন উইলিয়ামসের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/07/2018


Thumbnail

পৃথিবীতে খুব কম কৌতুক অভিনেতাই নিজের হাস্যরস ইমেজ থেকে বেরিয়ে সফল হয়েছেন। তাঁদের একজন হলিউড অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস। অভিনয় দিয়ে একই সঙ্গে মানুষ হাঁসানো এবং কাঁদানো দুটিই তিনি সফলভাবে করেছেন। তাঁর ‘পপআই’ ‘ক্লাব প্যারাডাইস’ ‘গুড মর্নিং ভিয়েতনাম’ ছবি যেমন দর্শকদের পেটে খিল ধরিয়েছে, তেমনি ‘ডেড পোয়েটস সোসাইটি’, ‘গুড উইল হান্টিং’ ‘অগাস্ট রাস’ দর্শকমনে গভীর দাগ কেটেছে। আজ ২১ জুলাই বেঁচে থাকলে ৬৭ বছরে পা ফেলতেন রবিন উইলিয়ামস।

১৯৫১ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন রবিন উইলিয়ামস। আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারেই জন্ম রবিন উইলিয়ামসের। বাবা ছিলেন বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফোর্ড’র কর্মকর্তা এবং মা ছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী। মা-বাবার পেশাগত ব্যস্ততার কারনে উইলিয়ামসের ছোটবেলা বেশ নিঃসঙ্গতায় কাটে।

শিক্ষাজীবনে রবিন উইলিয়ামসের প্রধান বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ থেকে একসময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছেড়ে নাট্য কলায় ভর্তি হন। ধীরে ধীরে নাট্যকলা বিভাগের সেরা ছাত্রদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। রবিন উইলিয়ামস এতোটাই অগ্রসরমান ছাত্র ছিলেন যে, নাট্যকলা বিভাগে তাঁর এক শিক্ষক তাঁকে বলেন- ‘ছকে বাঁধা পুরনো ধাঁচের লেখাপড়া তোমাকে ঠিক মানায় না।’ পরবর্তীতে উইলিয়ামস পুঁথিগত বিদ্যা ছেড়ে দিয়ে সৃজনশীল অভিনয়ে মনযোগী হন।

সত্তরের দশকে একজন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন রবিন উইলিয়ামস। টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘মঙ্ক অ্যান্ড মাইন্ডি’র মাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৯ সালে ‘রিয়্যালিটি হোয়াট এ কনসেপ্ট’ টেলিভিশন শো’র জন্য গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও জিতে নেন তিনি।

রবিন উইলিয়ামস প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ১৯৭৭ সালে ‘ক্যান আই ডু ইট... টিল আই নিড গ্লাসেস’ ছবিতে। এরপর একে একে ‘ডেড পোয়েটস সোসাইটি’, ‘দ্য ফিশার কিং’, ‘ওয়ান আওয়ার ফটো’, ‘ইনসমনিয়া’, ‘গুড উইল হান্টিং’, ‘ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট ড্যাড’, ‘গুড মর্নিং ভিয়েতনাম’ এর মতো বহু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।

অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ একবার অস্কার পুরস্কার জিতেছেন রবিন উইলিয়ামস। এছাড়া তিনি পাঁচটি গ্র্যামি, চারটি গোল্ডেন গ্লোবসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

প্রাণোচ্ছল এই অভিনেতা প্রায়ই বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন। এক সময় প্রবলভাবে কোকেনে আসক্ত হয়ে পড়েন। অতিমাত্রায় কোকেন সেবনে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু জন বেলুশির মৃত্যু হলে তিনি কোকেন ছেড়ে দেন। এরপর মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন।

জীবদ্দশায় বিভিন্ন সময় নিজেকে মানবতার সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন রবিন উইলিয়ামস। উপার্জিত অর্থের অধিকাংশই তিনি বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় ব্যয় করতেন। এছাড়া নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে আজীবন কাজ করেছেন তিনি।

জীবনের শেষ দিকে হতাশার কাছে পরাজয় বরণ করতে হয় রবিন উইলিয়ামসেকে। বিষণ্ণতার সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে ২০১৪ সালের ১১ আগস্ট আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি  

      



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭