নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 22/07/2018
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সংক্ষেপে এটি এআই বলেই আমাদের কাছে বেশি পরিচিত। মানুষের মুখমণ্ডল এবং চেহারা স্ক্যান করে নিখুঁত পরিচয় সনাক্তের কাজটি এআই বেশ ভালোভাবেই করে। ফলে এআই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
এটাতো গেলো শুধু মুখ সনাক্ত করা। এবার সেটি এগোচ্ছে চেহারা থেকে মনের ভাব ধরার দিকে। আর সেই কাজে বেশকিছু কোম্পানির এআই যথেষ্ট সক্রিয় এবং পটু বলে দাবি করছেন সেই এআই নির্মাতারা।
আর মনের অবস্থা, আবেগ অনুভূতি যদি ধরতে পারা যায় তবে বিভিন্ন কাজে সেটা ব্যবহার করাই যাবে। এই যেমন- বিজ্ঞাপন একেবারে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ইতিমধ্যে কিছু সুপারশপে এটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ফলাফলও মোটামুটি ইতিবাচক। সেই সুপারশপে ক্রেতার মন খারাপ থাকলে তারা মন ভালো করার পণ্যকে বেশি প্রাধান্য দেবে।
সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি অনেক কাজে আসবে, এবং সেটা খুবই স্বাভাবিক। মানুষের আবেগকে স্ক্যান করার এআই তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠান উইসি। তারা মনে করছে, তারা সাধারণ সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ থেকেই কার মনে কী চলছে তা আন্দাজ করতে পারেন। সে তথ্য ব্যবহার করে কেউ হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না তা নিরাপত্তা কর্মীদের জানিয়ে দিতেও পারবে। এটা নিঃসন্দেহে একটি আশার কথা।
প্রাথমিকভাবে এটি ভালো সাড়া ফেললেও আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,চেহারা চেনার ক্ষেত্রে এআই মোটামুটি ৯২ শতাংশ পর্যন্ত সফল, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ই। আর সেখানে মনের অবস্থা বুঝে উঠতে তার ভুল হবে, এটাও মেনে নিতে হবে।
তবে এ নিয়ে মতভেদও হচ্ছে কিছুটা। বিজ্ঞাপনের জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছেন অনেকেই। কারও সুসময় বা দুঃসময়ের সুযোগে পণ্য বিক্রি অনেকেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭