ককটেল বিস্ফোরণে জড়িত বিএনপির রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পথসভায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন রাজশাহী পুলিশের কমিশনার শহীদ আক্তার।

পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজশাহী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বুলবুলের পথসভায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে মতিউর রহমান মন্টু ও বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকতের মধ্যকার মোবাইল কথপোকথনের রেকর্ড তাঁদের হাতে আছে। ওই কথোপকথনের সূত্র ধরেই মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কমিশনার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাকে মন্টু বলে দাবি করা হচ্ছে, রেকর্ডিংয়ে তিনি টিপুকে বলছেন, ভাইয়ার (তারেক রহমান) কাছে ক্রেডিট নেওয়ার জন্য দুই জনকে দিয়ে এই বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মতিউর রহমান মন্টুকে তাঁর রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। একই অভিযোগে  হিমেল নামে আরেক যুবদলকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তাঁর রিমান্ডও চাওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

গত ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়া মোড়ে বিএনপির বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পথসভায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চারটি মোটরসাইকেলে করে এসে আটজন যুবক পথসভার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ