লিভিং ইনসাইড

যে কাজে মানসিক চাপ বাড়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/07/2018


Thumbnail

মানসিক চাপে পড়ে বুঝতে পারছেন না কি করবেন। মন অস্থির হয়ে আছে, কোনো কাজে মন দিতে পারছেন না। চাপ থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন। মুক্তির পথ খুঁজতে গিয়ে এমন কিছু করছেন যাতে মনে হচ্ছে চাপটা হয়তো কমে যাচ্ছে। কিন্তু এমন কিছু কাজ আছে যার ফলে মানসিক চাপ না কমে বরং বেড়ে যায়। আজ জানবো সেই কাজগুলো সম্পর্কে:

টেলিভিশন দেখা

সারাদিনের দীর্ঘ চাপের পরে টিভিটা বা ভিডিও গেম ছেড়ে বসলেন। ভাবলেন চাপটা হয়তো কমে যাবে, ভালো লাগবে। তবে এটা সবার জন্য না।  জার্মান ও ডাচ গবেষকরা সম্প্রতি দেখিয়েছেন যে, যারা কাজ করে ক্লান্ত তারা টিভি এবং গেমসকে দোষী মনে করে। কারণ টিভি এবং গেমস তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে আরও দেরি করিয়ে দেয়। এছাড়া গণমাধ্যম ব্যবহারে মানসিক শক্তি কমে যেতে পারে।

সমস্যা নিয়ে বেশি চিন্তা করা

আমরা অনেকেই ভাবি যে, সমস্যার সমাধান করতে গেলে সেটাকে নিয়ে বেশি করে ভাবতে হবে। এতে করে সমস্যার কারণ বের হবে, জট খুলবে। কিন্তু সেটা আসলে কিন্তু ঠিক নয়। এতে সমস্যার সমাধান হোক না হোক, সমস্যা আরও ডালপালা মেলবে। আর মাথার ভেতর যদি সেই বিষয়টা ঘুরতেই থাকে তো চিন্তা থেকে বের হওয়া সম্ভব না। উল্টে আরও মানসিক চাপ, হতাশা চলে আসতে থাকে। তাই এসব চিন্তা না করে ব্যায়াম করুন, গান শুনুন।

সমস্যাকে এড়িয়ে চললে

সমস্যা নিয়ে বেশি ভাববেন না, ঠিক আছে। তার মানে এই নয় যে সেই সমস্যাকে একদমই এড়িয়ে চলতে হবে বা সেটা নিয়ে কোনোকিছুই ভাবা যাবে না। ভাবুন, চিন্তা করুন, সমাধানের পথ খুঁজুন। এজন্য সবার আগে নিজের চিন্তাভাবনাকে স্থির করে ফেলুন। সমস্যাকে হয়তো কঠিন মনে হতে পারে। তখন বিশ্বাসী কেউ অথবা একজন কাউন্সিলরের শরনাপন্ন হতে পারেন।

বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কথা বলা

এই বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়াশীল।  কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষত নারীরা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে যখন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে তখন স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাগুলোর কেমন একটা পরিবর্তন দেখা দেয়। সেটা তাদের গ্লানিকর কোনো অনুভূতি এনে দিতে পারে। খু্ব আগ্রহ নিয়ে সমস্যার কোনো কথা বলতে গেলে দেখা যায় যে হীনমন্যতা কাজ করতে পারে। আবার সবসময় যে আপনার সমস্যার ইতিবাচক সাড়া মিলবে এমনটাও নয়। তাই সবসময় এমনটা ভাববেন না যে সব সমস্যা শেয়ার করলে তার সমাধান আসবে। এর উল্টোটা হতেই পারে। অন্যেরা এটা নেতিবাচকভাবেও নিতে পারে।

বিভিন্ন কাজ একত্রে করা

একসঙ্গে একাধিক কাজ করা আপনার মানসিক চাপকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেকে ভাবেন কাজে ব্যস্ত থাকলে চাপের কথা ভুলে যাওয়া যায়। কিন্তু এর উল্টোটা ঘটে। তাই চাপের সময়ে ধীরেসুস্থে কাজ করুন। একসঙ্গেই যদি অনেকগুলো হাজ নিয়ে বসেন তাহলে আপনি আগের চেয়ে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত স্লো হয়ে যেতে পারেন।

মদ্যপান ও ধূমপান

অনেকে মানসিক চাপ থেকে বের হতে একগাদা মদ্যপান করে ফেলেন। নয়তো বা একটার পরে একটা সিগারেট খেতে শুরু করেন। এতে করে সমস্যার বিষয় নিয়ে ভাবনাটা হয়তো আর মাথায় আসবে না। এটা কখনোই সত্যি হতে পারে না। কেননা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্যে যে নেশার বস্তু বা কেমিকেল থাকতে পারে, যা আপনাকে অস্থির করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে আপনাকে সময়জ্ঞান থেকে দূরে নিয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলেও এমনটা হতে পারে। 

বেশি ঘুমানো

আমরা ভাবি যে বেশি ঘুমালে সব চিন্তাভাবনাগুলো ভুলে থাকা যাবে। এজন্য চাপ কমাতে অনেকেই একগাদা ঘুমের ওষুধও খেয়ে ফেলেন। এতে হয় হিতে বিপরীত। বেশি ঘুমালে শরীর বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। অবসাদ আর চাপগুলো আবার ফিরে আসতে শুরু হরে। তাই বেশি ঘুমিয়ে লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতিই হবে।

সামাজিক মাধ্যমে সময় কাটানো

সামাজিক মাধ্যমে আসক্তি এখন ভয়ঙ্কর রূপধারণ শুরিু করেছে। আমাদের মন খারাপ হলে বা একটু চাপে থাকলে মনে হয় সামাজিক মাধ্যমে ঢুকি। দেখতে ইচ্ছে করে যে কে কি পোস্ট করলো, নিজের পোস্টে কে লাইক কমেন্ট করলো। এতে করে মন ভালো হবে হয়তো। কিন্তু এর উল্টোটাই হয়। সেখানে এমন কিছু দেখে হয়তো মন আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেই পারে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭