নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 23/07/2018
ম্যালেরিয়ার মতো মহামারী রোগের ফলপ্রসূ চিকিৎসা নিয়ে তো এতদিন অনেক গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তবে বিগত ৬০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ট্যাফেনোকুইন নামক ট্যাবলেটকে ম্যালেরিয়ায় চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঔষধটি বিশেষভাবে কাজ করবে। একবার ম্যালেরিয়া হওয়ার পর শরীরে সেই জীবাণু পুণরায় আক্রান্ত করে তুলতে বাধা দেবে এটি।
প্রতিবছর বিশ্বে এই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ। এই ম্যালেরিয়াকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হয় পুরো বিশ্বেই। কারণ একবার ম্যালেরিয়া হওয়ার পরে সেটি আবার জেগে উঠতে পারে। কিংবা লিভারের মধ্যে বহু বছর ধরে থেকে যেতে পারে।
তাই বিজ্ঞানীরা এখন এর চিকিৎসায় ট্যাফেনোকুইন ঔষধকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের ঔষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে যে তাদের দেশে এই ঔষধটি প্রয়ো করা সম্ভব কিনা।
শিশুদের মধ্যে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ একটু বেশিই। একবার নিরাময় হলেও তাদের আবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত করতে পারে। মশার কামড়ের মাধ্যমে এটি একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ট্যাফেনোকুইনকে অনুমোদন দিয়েছে। বলা হচ্ছে যে, এটি লিভারে লুকিয়ে থাকা ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করে আবারো ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে। সেই সঙ্গে কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে অন্য ঔষধের সঙ্গেও এটি খাওয়া যাবে।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতাও রয়েছে। তারা বলছে, ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ঔষধের যথাযথ কোর্স সেবন করতে হবে। এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে যা সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। যাদের এনজাইম সমস্যা রয়েছে তাদের এই ঔষধ সেবন করা উচিত নয় বলে মনে করছেন তারা। আবার মানসিক অসুস্থদের জন্যেও এটি যথাযথ নয়। তারপরেও এর কার্যকারীতা নিয়ে তাঁরা আশাবাদী।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭