ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নো ‘ম্যানস’ ল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/07/2018


Thumbnail

বেশিরভাগ ফিনল্যান্ডের অধিবাসী স্টীমবাথ কিংবা মদে বুদ হয়ে গ্রীষ্ম উদযাপন করে থাকে। তবে এবছর ফিনিশ নারীরা গ্রীষ্মের ছুটিটা একটু ভিন্নভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা করতেই পারেন।

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির কাছাকাছি অবস্থিত রেসবোর্গ উপকূলে সম্প্রতি একটি আইল্যান্ড রিসোর্ট চালু করা হয়েছে। ‘সুপার শি আইল্যান্ড’ নামের এই আইল্যান্ড রিসোর্টের বিশেষত্ব হলো এটি পুরুষদের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এই রিসোর্টের অন্যতম উদ্যোক্তা জার্মান-মার্কিন বংশোদ্ভূত ক্রিস্টিনা রথ জানান, এই দ্বীপ হলো নারীদের জন্য এমন একটি অবকাশযাপন কেন্দ্র যেখানে তারা বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক ও ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ পাবে।

সম্প্রতি লন্ডনে ‘দ্য অলব্রাইট’ নামে একটি ক্লাব গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানেও পুরুষদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ‘দ্য উইং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে পুরুষ কর্মী নিয়োগ নিষিদ্ধ। এবছরের শেষ নাগাদ লন্ডনে দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

সুইডেনভিত্তিক ‘হার গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ বিশ্বের ১৪টি শহরে পরিচালিত হচ্ছে। পেশাজীবী নারীদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করছে তাঁরা।

শুধুমাত্র পশ্চিমা দেশগুলোতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠছে নারীবান্ধব ক্লাব বা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নো ‘ম্যানস’ ল্যান্ড বা পুরুষদের নিষিদ্ধ করে কেন এতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে?

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নারীদের আয় পুরুষদের তুলনায় ১৬ শতাংশ কম। পুরুষদের মতো বড় পরিসরে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ না থাকায় নারীদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ পরিবার ও বন্ধুমহলের ভেতরই সীমাবদ্ধ থাকে। যার কারণে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের হারও পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। এজন্য নারীরাও বর্তমানে পুরুষদের মতো বিজনেস ক্লাবের দিকে ঝুঁকছে। আর পুরুষদের উপস্থিতি না থাকলে নারীরা স্বাচ্ছন্দবোধ করে বলেই এ ধরনের ক্লাবগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

নারীদের জন্য এমন ক্লাবের ধারণা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ১৮৬০ সালের দিকে লন্ডনেও এমন ক্লাব ছিলো। তবে তাঁদের পরিসর ছিলো এখনকার ক্লাবগুলোর তুলনায় অনেকটাই ছোট। অন্যদিকে দ্য উইং এবং সুপারশি`র মতো ক্লাবগুলোতে প্রাইভেট হেলিকপ্টারে করে ভ্রমন থেকে শুরু করে প্রাইভেট সেশন, ইয়োগা কিংবা বাল্টিক সাগরে সমুদ্রস্নানের ব্যবস্থাও রয়েছে।

নো ‘ম্যানস’ ল্যান্ড বা পুরুষ নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বাড়লেও নারীবান্ধব ক্লাবগুলোকে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ফিনল্যান্ডের একটি সংস্থা সুপার`শির বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ তদন্ত করছে। নিউইয়র্কের দ্য উইংয়ের বিরুদ্ধেও এমন তদন্ত চলছে।


বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭