লিভিং ইনসাইড

কর্মজীবী মায়েরা সন্তান সামলাবেন কীভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 26/07/2018


Thumbnail

জীবন-জীবিকা আর সামাজিক মর্যাদার তাগিদে সংসারে নারীরা এখন কর্মস্থলে যাচ্ছেন, পুরুষের চেয়ে কোনো অংশেই এখন আর তারা পিছিয়ে নেই সেটা সবারই জানা। কিন্তু সংসারে নারী একজন মা। সন্তানকে রেখেই তাকে কর্মস্থলে ছুটতে হয়। সন্তানকে রেখে তাঁর মধ্যে সবসময় দুশ্চিন্তা, শঙ্কার কাজ করে; কখনো বা অপরাধবোধও হয়। তাই বাস্তব মেনে নিয়ে সন্তানের বিষয়ে একটু বেশি সতর্ক হন, মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো-

১. মা সবসময় কাছে না থাকলে সন্তানদের মনের মধ্যে অভিমান বাসা বাঁধতে থাকে। এজন্য খুব নরম হয়ে তাকে বোঝাতে হবে। বলতে হবে যে অফিসে যাওয়া একটা নিয়মিত কাজ। ওকে যেমন স্কুলে যেতে হয়, তেমনি অফিসেও যেতে হয়। এজন্য মাঝে মাঝে সন্তানকে অফিসে নিয়ে যান। এতে করে ও আপনার কাজের পরিবেশট বুঝতে পারবে।

২. একদম ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে স্বনির্ভর হতে শেখান। এতে করে আপনার অনুপস্থিতিতে ওর জীবনধারণ সহজ হবে। নিজের জামা-কাপড় গুছিয়ে রাখা, নিজের হাতে খাবার খাওয়া, জামা-জুতা সামলিয়ে ব্যবহার, আদবকায়দা মেনে চলার মতো ব্যাপারগুলো শিখিয়ে নিন।

৩. আপনার শিশুর মানসিক সুস্থতা পরিবেশের ওপর অনেকটাই নির্ভর। এজন্য আপনি আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। কারণ এতে আপনার অনুপস্থিতিতে কোনো সমস্যায় সবাই এগিয়ে আসতে পারে। এজন্য সন্তানকে নিয়ে অবসরে সবার বাসায় বেড়িয়ে আসুন।

৪. আপনার সন্তানের স্কুল, বন্ধুর অভিভাবক, শিক্ষক, আপনার প্রতিবেশী সবার ফোন নম্বর সবসময় কাছে রাখুন। এতে কোনো সমস্যা বা প্রয়োজনে অফিসে বসেও আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৫. একটা বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হলো মাঝেমধ্যেই সন্তানকে ফোন করা। অবশ্যই ফোন করে তার খোঁজখবর নেবেন। ওকে বুঝতে দেবেন না যে একা থাকছে বা ওকে অবহেলা করা হচ্ছে। ওকে এটা বোঝান যে আপনি ওকে সবসময়ই প্রাধান্য দেন।

৬. সন্তান যদি একা বাসায় থাকে তাহলে তাকে কিছু বিষয় শিখিয়ে রাখুন তার নিরাপত্তার জন্য। ওকে বলে রাখবেন যেন কাউকে দরজা না খুলে দেয়। আপনার পরিচিত সবাইকে বলে দিন আপনার অনুপস্থিতিতে বাসায় না আসতে। বাসায় একটা ফার্স্ট এইড বক্স রাখুন। বাসায় একটা ফোন ডায়েরি রাখুন। তাতে প্রয়োজনীয় সব নম্বর লিখে রাখুন।

৭. খুব বিশ্বাসী না হলে শিশুকে একা কাজের লোকের সঙ্গে বাসায় রাখবেন না। আপনার শিশু কাজের লোকের সঙ্গে থাকতে স্বছন্দবোধ করছে কি না সেটা খেয়াল রাখুন।

৮. বাসায় ফিরে ক্লান্ত লাগবে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু ফেরার পরেও পরিবারের সঙ্গে অবশ্যই সময় কাটান। বিশেষ করে সন্তানকে আলাদা একটু সময় দিন। সারাদিনে সে কি করলো, দিনটা কেমন কাটলো সেটা জিজ্ঞেস করুন। ওর গণ্ডির সবচিছু জানতে চান। ভালো কিছু হলে সাহস দিন। ভুলভ্রান্তি হলে বকাঝকা না করে ভালোভাবে বোঝান। একসঙ্গে খাবার খান, টিভি দেখেন, পড়াতে বসান।

৯. সন্তানকে সবসময়ে ওর শখের কাজগুলোতে উৎসাহিত করুন। অবসর সময়টা এতে ওর ভালো কাটবে। আর সন্তানকে সময় দিতে না পারলে তাকে এটা-ওটা দিয়ে পুষিয়ে দেবেন না। তাকে সময় দিন, ঘুরতে নিয়ে যান, ভালো বই কিনে দিন, ছবি আঁকতে উৎসাহিত করুন। সে আপনাকে চায়, আপনার সঙ্গ চায়।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭