ইনসাইড ইকোনমি

ফেসবুক এবার ঢুকছে চীনের বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/07/2018


Thumbnail

ফেসবুকের নিরাপত্তা নিয়ে পুরো বিশ্বেই এখন বেশ সমালোচনা চলছে। নিরাপত্তার অজুহাতে বড় জনগোষ্ঠীর দেশ চীনে ফেসবুক ওয়েবসাইট ব্লক করা রয়েছে, তবে সেটা বহু আগে থেকেই। অথচ এখানেই ফেসবুকের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় বাজার।

কিন্তু এতো সহজে হাল ছাড়তে রাজি নন ফেসবুক ও তার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। আর তাই তিনি এখন চীনে একটি অফিস খুলবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে অফিস খোলার লাইসেন্স পেয়েছে ফেসবুক। চীনা বাজারে ঢোকার এটাই তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা।

ফেসবুক বলছে, তাদের চীনের অফিসটি হবে একটি ‘ইনোভেশন হাব’ বা উদ্ভাবনকেন্দ্র। এখান থেকে চীনের ডেভেলপার, উদ্ভাবক ও স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহ করা হবে।  স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বৃহৎ সহায়তা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে তারা। এর মাধ্যমেই চীনের বাজারে তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

চীনে বিশাল জনগোষ্ঠী বলে বিশ্বের বৃহৎ সামাজিক মাধ্যমের বাজার মনে করা হয় একে। কিন্তু এখানে টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউব ব্লকড রয়েছে। এর পরিবর্তে চীনে শুধু ওয়েইবো, রেনরেন ও ইউকু নামের স্থানীয় সামাজিক মাধ্যম সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারে এখন। এগুলোর ওপর চীনা সরকার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

তবে চীনের সামাজিক মাধ্যম খাতকে নিয়ে জাকারবার্গ সবসময়েই আশাবাদী। এর আগেও বাজারে প্রবেশের অনেক চেষ্টা করেছেন তিনি। এমনকি তিনি চীনা কর্মকর্তাদের মনোযোগ আকর্ষণে মান্দারিন ভাষা শিখে ফেলেছেনও। সবচেয়ে বড় কথা হলো জাকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান চীনা বংশোদ্ভূত।

চীনের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অফিস নিবন্ধনের তথ্য সরানোর আগে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর হ্যাংঝুতে ফেসবুকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নামে অফিস নেওয়া হয়েছিল। এতে ৩ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়টিরও উল্লেখ আছে।

ফেসবুক বলছে, ফ্রান্স, ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ইনোভেশন হাবের মতো চীনেও একই রকম হাব করতে চায় তারা। সেখানে প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপের পাশাপাশি ডেভেলপার ও উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে চীনে ফেসবুকের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ইন্টারনেট নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরই কঠোর নীতি অনুসরণ করে চীন। বৈশ্বিক ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের পাশাপাশি পুরো ইন্টারনেট ব্যবস্থার ওপর কড়া নজরদারি ও ব্যবহারকারীর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটি। তারপরেও চীনের অনেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) সহায়তায় ফেসবুকের মতো নিষিদ্ধ সেবাগুলো ব্যবহার করে আসছিলো। অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে গত বছর শেষ দিকে টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোকে ভিপিএন নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলো। এর মধ্য দিয়ে চীনাদের বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যবহারের সুযোগও স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতোকিছুর পরে চীনে ফেসবুকের এই প্রবেশের সফলতা আসবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭