নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 28/07/2018
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ব্যক্তিগত তথ্য চুরি’ এবং ‘অসত্য সংবাদ’ যুক্তরাজ্যে গণতান্ত্রিক সংকট সৃষ্টি করেছে। দেশটির একটি সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেমব্রিজ এনালটিকা ডাটা কেলেঙ্কারির পর যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের ডিসিএমএস (ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া এবং স্পোর্ট) কমিটি ভুল তথ্য এবং অসত্য সংবাদ বিষয়ে একটি তদন্ত পরিচালনা করে। তাদের প্রথম প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ডিসিএমএস কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে জনগনের মনে ভীতি ও কুসংস্কার সৃষ্টি করার ঘটনা ঘটেছে। যা নির্বাচনের সময় ভোটারদের প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর সরসরি প্রভাব ফেলছে। এটি অবশ্যই গণতন্ত্রের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে ডিসিএমএস কমিটির ওই রিপোর্টে। ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে নিয়মিত সরকারি পরিদর্শনেরও সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্যও কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ডিসিএমএস কমিটির ওই রিপোর্টে।
এর আগে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ব্যক্তিগত তথ্য চুরি’ এবং ‘অসত্য সংবাদ’ প্রভাব ফেলেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন টিম ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়। তারা নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করতে বিনা অনুমতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কোটি কোটি গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করে। এই ঘটনার জের ধরে কোম্পানিটির সিইও অ্যালেকজান্ডার নিক্সকে বরখাস্ত করা হয়। পাঁচ কোটি গ্রাহকের গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তদন্তের মুখে পড়ে ফেসবুক।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭