ইনসাইড পলিটিক্স

বিটিভির কাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 28/07/2018


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিচ্ছেন। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে। হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী টিভি স্ক্রিন থেকে উধাও। হাজির হলেন একজন খবর পাঠিকা। পাঠিকা কিছু একটা বলছেন। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। মিনিট খানেক ধরে চলল এই অদ্ভুত কাণ্ড। এরপর টনক নড়ল টিভি কর্তৃপক্ষের। আবার ফিরে গেল প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ভাষণে। দেড় মিনিট পর আবার টিভি পর্দায় দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। আর হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন খবর পাঠিকা।

আজ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাতিরঝিলের নর্থ ইউলুপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার কালে এই ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্র বিটিভি। বাংলাদেশের সব টেলিভিশন চ্যানেলের আধুনিকায়ন হলেও বিটিভি এখনো চলছে সেই মান্ধাতা আমলের ব্যবস্থায়। কোনো পরিবর্তন নেই বিটিভির।

অথচ কি নেই বিটিভির! রাষ্ট্রীয় সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছে এই টিভি কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীরা। বিটিভিতে আছেন একজন অতিরিক্ত সচিব। মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্রের জন্যই তথ্য মন্ত্রণালয়ে আছেন একজন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী।

কিন্তু এত কিছুর পরও বিটিভি এখনো বিটিভিই। কারও নজর নেই বিটিভির প্রতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিটিভি ক্রমশ একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে পরিণত হচ্ছে।

অনেকে বিটিভির কাণ্ডে হাসি-তামাশার পরিবর্তে বরং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার পক্ষপাতী। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় এমন ঘটনাকে তারা ভুল নয় বরং সর্বোচ্চ ধৃষ্টতা বলেই মনে করেন। এমন কাণ্ড বিটিভি অদক্ষতার জন্য করেছে নাকি ইচ্ছাকৃত ভাবে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তারা। ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননার উদ্দেশ্যে বিটিভিতে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে কিনা তা তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭