ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্য ও অন্যান্য সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/08/2018


Thumbnail

ঘোরেনি বাসের চাকা। দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ। গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। বাস চলেনি রাজধানীর ঢাকার অভ্যন্তরীণ পথেও। সড়ক যোগাযোগ প্রায় অচল। আইন অনুযায়ী পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ধর্মঘট ডাকা যাবে না। রুট পারমিটের অন্যতম শর্ত- নিয়মিত বাস চালাতে হবে। কিন্তু আইন অমান্য করে মালিক-শ্রমিকরা ঘোষণা না দিয়ে বাস বন্ধ রাখায় জিম্মি রয়েছে সারাদেশ। টানা দুই দিনের অঘোষিত ধর্মঘটে কোটি মানুষ পড়েন সীমাহীন ভোগান্তিতে। এদিকে দুই দিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য চালিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা। (সমকাল)

অন্যান্য সংবাদ

থামাতে হবে এ মৃত্যু-মিছিল

সড়ক-মহাসড়কে কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না মৃত্যুর মিছিল। নিরাপদ সড়কের প্রতিবাদে যখন দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে, তারই মধ্যে গতকাল শুক্রবার দেশের ৬টি স্থানে চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনায় ৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ জন। এর মধ্যে খোদ রাজধানীতেই বাসের ধাক্কায় মারা গেছেন একজন মোটরসাইকেল আরোহী। কীভাবে হুশ ফিরবে এই ‘ঘাতক’ চালকদের- এমন প্রশ্নই করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা যখন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হয়, কিভাবে পরীক্ষা করতে হয় কাগজপত্রের তখন কেন এই দুর্ঘটনা। সড়ক-মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তারা কী করছেন? যে কোন মূল্যে থামাতে হবে এই মৃত্যুর মিছিল। রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। ঘাতক চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে অন্যদেরও শিক্ষা দিতে হবে। (ইত্তেফাক)

শুক্রবারেও রাজপথে শিক্ষার্থীরা

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ এবং ঘাতক চালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে শুক্রবারও রাজপথে ছিল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সরকার ঘোষিত ছুটির পর শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ করে। এদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও মানববন্ধনে যোগ দেন। বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে তারা মানববন্ধনে আসেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্য দিনের মতো গতকালও শিক্ষার্থীরা রাজপথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, যানবাহনের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে। অভিনেতা অভিনেত্রীরা একাত্মতা প্রকাশের পর মানববন্ধন করেন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শহরেও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। আন্দোলনকারীরা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়। তারা জানায়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অভিভাবকরা পরিবহন খাতের অব্যবস্থাপনা দ্রুত বন্ধের দাবি জানান। এদিন পরিবহন শ্রমিকরাও রাস্তায় নামেন। তারা গণপরিবহন চলাচলে বাধা দেন। এছাড়া শনিবার সকাল থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির (পরীক্ষা-ক্লাস বর্জন) পাশাপাশি সড়ক অবরোধেরও ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি ঘোষণার কথা ভাবছে শিক্ষার্থীরা। (যুগান্তর)

নজরদারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

রাজধানীর কুর্মিটোলায় গত রবিবার বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর রাজধানীজুড়ে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। আর এ সুযোগে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে- এমন তথ্যই জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এ কারণে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কড়া নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। অন্দোলনের আড়ালে কেউ পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করলে তাদের কঠোরহস্তে দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি করেছেন তারা। (ভোরের কাগজ)

শুল্ক ফাঁকি রোধে আরো কঠোর হচ্ছে এনবিআর

রাজস্ব বাড়াতে শুল্ক ফাঁকি বন্ধে আরো কঠোর হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর অংশ হিসেবে পণ্য আমদানি-রফতানিতে ডজনখানেক নতুন উদ্যোগ চালু করছে সংস্থাটি। পণ্য খালাসের আগে ডাটা এন্ট্রি, পণ্যের বাণিজ্যিক বিবরণ, এইচএস কোড সংরক্ষণ, কায়িক পরীক্ষা ও  সমজাতীয় পণ্যের অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ করে শুল্কায়ন এর মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি খালাসকৃত পণ্যের প্রাত্যহিক ও মাসিক নিরীক্ষাও জোরদার করা হচ্ছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব কাস্টমস হাউজ, কাস্টমস স্টেশন ও কমিশনারেটে এসব পদ্ধতি কার্যকর করতে এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআরের শুল্ক অনুবিভাগ। (বণিক বার্তা)


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭