ইনসাইড পলিটিক্স

এক মুখে দুই কথা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/08/2018


Thumbnail

সম্প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে সরকার। সারাদেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এইসব অভিযানে দেশের সর্বস্তরের মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়। পাশাপাশি ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয় কিছু মাদকব্যবসায়ী। এই মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে সুলতানা কামালসহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীরা বলেছিল, মাদক নিয়ন্ত্রণে ‘ক্রসফায়ারে’ বিচার বহির্ভূত হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। মৃত্যুদণ্ড দিয়ে অপরাধ রোধ করা যায় না। বিনা বিচারে একজন ঘৃণ্যতম অপরাধীকেও গুলি করা যাবে না। কেউ অপরাধী হলে তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। একজন খুনিও আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রাখেন।

গত ২৯ জুলাই দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থী আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে নিরাপদ সড়ক চেয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৯ দফা দাবি দেয়। এই দাবি আদায়ে আজ ষষ্ঠ দিনও আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে পূর্ব-উল্লিখিত বুদ্ধিজীবীরা সমর্থন জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাওয়া ৯ দফা দাবির প্রথম দাবি, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ী ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে। এই সমর্থনের মধ্য দিয়ে আজকে সেইসব বুদ্ধিজীবীরা অভিযুক্ত ড্রাইভারের মৃত্যুদণ্ড চাইছে। তাদের এই চাওয়ার মধ্যেও কোনো বিচার নেই। কোনো আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা নেই। তারমানে এটাও কোনো না কোনো ভাবে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড।

একই মুখে বুদ্ধিজীবীরা কি বলছেন! একদিকে বলছেন খুনিদেরও আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার আছে। আরেকদিকে চাইছেন, সরাসরি মৃত্যুদণ্ড, কোনো বিচারের দাবি নয়।

অর্থাৎ, এইসব ‘তথাকথিত’ বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের স্বার্থে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতদেরকে বলছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। বিচার ছাড়া তাদের ‘ক্রসফায়ার’ অন্যায়। আবার নিজেদের স্বার্থেই বলছেন, ড্রাইভারদের কোনো বিচার করার দরকার নেই, তাকে ফাঁসি দিয়ে দাও। এখন প্রশ্ন হলো, এই স্ববিরোধীতা কেন?

বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭