ইনসাইড থট

নিরাপদ সড়ক সময়ের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/08/2018


Thumbnail

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মোকাবেলায় শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত সরকারের প্রাজ্ঞতার পরিচায়ক। ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও আন্তরিকতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জনস্বার্থে যতদ্রুত সম্ভব এর অবসান হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ইতিমধ্যে সাত দিন অতিবাহিত হয়েছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে তারা সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি তুলে ধরে। সরকারের বিভিন্ন মহল তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেগুলো মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বাস প্রদান করেছেন।

সরকার দাবি মেনে নেওয়ার পরও কেন রাস্তায়-এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চায়। দাবি বাস্তবায়ন হলেই তারা রাস্তা ছাড়বে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে অবশ্যই যৌক্তিক সময় দিতে হবে। কেননা কিছু কিছু দাবি তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্য়মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। এই পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে সরকারের পক্ষে সময়ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট ঘোষণা প্রদান করা যেতে পারে।

গত রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বাসচাপায় সহপাঠীদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক কারণেই বিক্ষোভ করছে। প্রচন্ড আবেগের তাড়নায় তারা রাস্তায় নেমে আসে। গতকাল পর্যন্ত সপ্তম দিনের মতো তা অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি হলো বেপরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে, নৌ পরিবহন মন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে, শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে, শুধু ঢাকা নয় সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকের গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা নতুন নয়। এটি দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত একটি সমস্যা। এ নিয়ে হরতাল, অবরোধ, মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানবন্ধন, সেমিনার, লেখালেখি, সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার অনেক কিছুই হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলেই আজ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছে। এই কিশোর-তরুণেরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কীভাবে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হয়, কীভাবে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হয়। রাস্তায় যে কাজটি ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, নাগরিকদের করার কথা।

শিক্ষার্থীদের দাবি সরকার মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে যেসব দাবি এখনই বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে, বাকিগুলো বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি বিধানের লক্ষ্যে ‘গণপরিবহন ও ট্রাফিক’ আইন আগামী সোমবার মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপিত হবে। আইনটি মন্ত্রিপরিষদে পাস হওয়ার পর জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে পেশ করা হবে। এই আইনের মাধ্যমে পরিবহন সেক্টরে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আনা সম্ভব হবে। বাস ড্রাইভার ও হেলপারসহ চার জন এবং জাবারে নূরের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্ডারপাস নির্মাণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিআরটিএ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এলক্ষ্যে ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করেছে। আজ থেকে ৭ দিন সারাদেশে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হবে। স্কাউট-গার্লস গাইডদের নিয়ে পুলিশ সদস্যরা যানবাহনের বৈধতা, মেয়াদ, ফিটনেস, চালকের লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করবেন।

পরিবহন শ্রমিকদের দৌরাত্ব, গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সিটিং সার্ভিসের নামে লুটপাটসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যখনই সরকার উদ্যোগ নিয়েছে তখনই মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটে জনভোগান্তিতে সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিশোর-তরুণদের এ আন্দোলন সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনতে সরকারকে ব্যাপকভাবে সহায়তা প্রদান করবে। কিন্তু এখানে প্রয়োজন সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার সাথে সরকারি সংস্থাগুলোর নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করা।

নিরাপদ, জ্বালানী সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বাহন রেল ও নৌপথকে যথাযথ গুরুত্ব না দেয়া, অতিরিক্ত সড়ক নির্ভরতা, ত্রুটিপূর্ণ সড়ক অবকাঠামো, সড়ক অব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিপূর্ণও বাঁকবহুল সড়কযোগাযোগ, চলাচলের অনুপযোগী যানবাহন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালকের অভাব, অদক্ষ, লাইসেন্সবিহীন ও মাদকাশক্ত চালক, বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালনা, ওভারটেকিং, অতিরিক্ত লোড বহন, গতিসীমা না মানা, চালকদের বিরামহীন গাড়ি চালানো, মহাসড়কে লোকাল গাড়ি ও ধীর গতির যানবাহন চলাচল, ট্রাফিক আইন ও সড়কে প্রদত্ত সংকেত অনুসরণ না করা, যানবাহন যথাযথভাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির আওতায় না আনা, আইন যুগোপযোগী না করা, আইন প্রয়োগে শিথীলতা, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে ব্যর্থতা, মালিক, চালক, বিআরটিএ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, সর্বস্তরে সচেতনতার অভাব, ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন, সর্বোপরি সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাবে যাতায়াতে দূর্ঘটনা ও যানজট প্রতিনিয়তঃ বেড়ে চলেছে। এই সংঙ্কট উত্তরণে জরুরীভিত্তিতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

নগরীতে বড় বাসে দুটি দরজা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানা হচ্ছে না। এক দরজার বড় বাসগুলো শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের পাশাপাশি সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রাস্তার মাঝখানে যাত্রী নামানো ও উঠানো, যা অত্যন্ত বিপদজনক এবং প্রায় হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। রাস্তার মাঝখান, রাস্তার মোড় ও সিগনালে বাস থামিয়ে রেখে অন্যান্য যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়। অধিক মুনাফার লোভে অনুমোদিত আসনের অতিরিক্ত আসন স্থাপন করা হয়। বাস-মিনিবাসের ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে ব্যাপকভাবে শব্দ ও বায়ু দূষণ হচ্ছে। বাস-মিনিবাসের বডি, আসন, জানালা ও দরজা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত না করার ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, বিশেষ করে শীত ও বর্ষাকালে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন যানবাহন পাওয়া যায় না। যান পেলেও যানজটে মহামূল্যবান সময়ের অপচয় হচ্ছে। মহিলা যাত্রীদের পক্ষে ভদ্রোচিতভাবে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকায় চলাচলকারী গণপরিবহনে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের কোনো পরিবেশ নেই। বছরের পর বছর এসব অনিয়ম চলছে।

সড়কপ্রধান যাতায়াতে দূর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ যাত্রী দুর্ভোগের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও আরামদায়ক যাতায়াত মাধ্যম রেল ও নৌপথকে আরো গুরুত্ব দিয়ে সড়কপথের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা না হলে পরিবহন ব্যবস্থায় মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। যাতায়াত দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা লাঘবে রেল-নৌ-সড়ককেন্দ্রিক সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই ।

ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়নের ফলে সারাদেশ থেকে মানুষ প্রতিদিন ঢাকার দিকে ছুটছে। কেউবা ঢাকায় অবস্থান করার জন্য কেউবা সংক্ষিপ্ত সময়ের কাজে আসছেন। উৎসবের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসা-যাওয়া করেন। এই চাপ সামলানো অসম্ভব এবং অযৌক্তিকও বটে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে যাতায়াতের এই চাহিদা অনেকাংশেই হ্রাস করা সম্ভব। এজন্য বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা শহর, পৌর এলাকায় মানুষের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এমনকি গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে নিকটবর্তী স্থানে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং তাদের নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটানোর সুযোগ পায়।

সুপারিশ

রেল-নৌ-সড়ককেন্দ্রিক সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান মোটরযান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্য়মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারণ করা।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকের গাড়ি চালানো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ইন্সটিটিউশনাল সুবিধার ব্যবস্থা করা।

রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

একেকটি রুটে এককটি পরিবহন প্রতিষ্ঠান বা একাধিক পরিবহন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত জোটের মাধ্যমে বাস চালানো।

রাস্তার মাঝখানে বাসে যাত্রী উঠানো-নামানো এবং রাস্তার মাঝখান, রাস্তার মোড় ও সিগনালে বাস থামিয়ে রেখে অন্যান্য যান চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা।

গণপরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সচেতন করা।

গণপরিবহনের চালক ও সহকারীদের পোষাক নির্ধারিত করে দেয়া এবং তাঁদের জন্য পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা।

রাস্তায় চলাচলে জনগণকে সচেতন করে তোলা।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭