কালার ইনসাইড

কেমন চলছে ‘শুটিং হাউস’?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 07/08/2018


Thumbnail

নাটক- সিনেমার কলাকুশলীদের প্রথম ঘর ‘শুটিং হাউস’। নিজের ঘরের চেয়ে শুটিং হাউসেই বেশি সময় কাটে। শুধু দিন নয়, কোনো সময় গভীর রাত অবধি শুটিং স্পটে থাকতে হয়।

বর্তমান সময়ে ঢাকার উত্তরায় প্রায় ১৩ টির মত বাড়িতে দিন-রাত শুটিং করা হয়। সারা বছর যে এই শুটিং হাউসগুলোতে শুটিং চলে এমনটা নয়। তবে ঈদের সময় হাউসফুল।

একটা সময়ে একেক পরিচালকের কাছে শুটিং বাড়ির ভাড়া একেক রকম রাখা হত। এ নিয়ে বিভিন্ন পরিচালকের অভিযোগ ছিল। তবে এই সব জটিলতা নিরসনের জন্য ২০০৫ সালে গঠন করা হয়েছে শুটিং হাউস মালিক সমিতি। এ সমিতির আওতায় থাকা শুটিং হাউজগুলোতে যে কোনো পরিচালক নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে শুটিং করতে পারেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আশ্রয়, মন্দিরা, স্বপ্নীল১-২, শিশির, রাজ্য, আনন্দবাড়ী, আপনঘর, লাবণী প্রভৃতি। এসব শুটিং হাউসে  সাধারণত এক শিফটের জন্য ৫০০০ টাকা এবং দুই শিফট (সকাল- রাত ১২টা) এর জন্য ১০,০০০ টাকা নেয়া হয় শুটিং হাউসগুলোতে।

তবে বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া বাড়ানো হয়। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে দশ হাজার টাকা বেড়ে যায়। সিনেমার জন্যও বাড়ে ভাড়া। কারণ হিসেবে জানা যায়, এ ধরণের সেটে অনেক লাইট ব্যবহার করা হয়।

বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন বাড়ির পরিবেশ ও নিয়মকানুন নিয়ে। তবে তারা কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি। এককথা, নাম প্রকাশ করে আর কি হবে। নিজের ঘরকে খারাপ বললে নিজেই ছোট হতে হবে। তবে এসব সমস্যা খুঁজে পাওয়া গেছে তাদের কথায়।

১. মেকআপ রুমে ছারপোকা।

 ২. বাথরুমসহ পুরো বাড়ি অপরিষ্কার।

৩. প্রপস (শুটিংয়ের অনুষঙ্গ) সংকট।

৪. পর্যাপ্ত বিকল্প বিদ্যুৎব্যবস্থা না থাকা।

৫. একসঙ্গে একাধিক শুটিং ইউনিট ভাড়া।

৬. পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব।  

৭.  নিরাপত্তার অভাব।

জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু বলেন,‘ এমন অভিযোগ মিথ্যে নয়। আমিও ফেইস করি। একটা বাড়িতে দিনের ১৫-১৬ ঘণ্টা সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন মানুষ অবস্থান করেন। তাঁদের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ২-৩টি টয়লেট। সেগুলোর অবস্থাও খুব খারাপ। আমরা এসব অভিযোগ নিয়ে বাড়ির মালিকদের ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথাও বলি। কিন্তু আজ না হয় কাল এর সমাধান হবে। এমনভাবেই চলছি।’

অভিযোগগুলো নিয়ে কথা হয় শুটিং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন,‘ অভিযোগগুলো সবটা মিথ্যে সেটা আমি বলবো না। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করি।’

তিনি আরও জানান, ‘একটা শুটিংবাড়ির ভাড়া কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। কেয়ারটেকার, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আনুষঙ্গিক অনেক খরচ আছে। সব মিলিয়ে মাস শেষে লাভের পরিমাণ খুব কম। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে দুই থেকে তিন ইউনিট ভাড়া দিতে হয়। প্রপস সংকটও একই কারণে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।  প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে ৩/৪ জন নিরাপত্তকর্মীও। প্রযোজক ও পরিচালকেরা ভাড়া বাড়ালেই কেবল এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সে বিষয়ে বসে কথা বলতে হবে।’



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭