ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুটি পারমাণবিক বোমাও ধ্বংস করতে পারেনি তাঁকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/08/2018


Thumbnail

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দুই শহরেই পরমাণু বোমার শিকার হন সুতোমু ইয়ামাগুচি নামের এক ব্যক্তি। সৌভাগ্যবশত দু’বারই বেঁচে যান তিনি।

৭৩ বছর আগে ৬ আগস্ট অফিসের কাজে হিরোসিমা গিয়েছিলেন সুতোমু। শহরটিতে পৌঁছানোর কিছুক্ষন পরেই লিটল ম্যান নামের প্রথম বোমাটি ফেলা হয়। অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ওই হামলায়। আহত হলেও সেসময় প্রাণে বেঁচে যান ২৯ বছর বয়সী সুতোমু। পরদিন মৃতদেহের স্তূপ পেরিয়ে ট্রেনে করে বাড়ি পৌঁছান নাগাসাকির এই বাসিন্দা। এরপর ৯ আগস্ট সারা শরীরে ব্যান্ডেজ নিয়ে অফিসেও যান সুতোমু। সেদিনই ফ্যাটম্যান নামের দ্বিতীয় বোমাটি ফেলা হয় সেখনে। অন্তত ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ওই হামলায়। কিন্তু এবারও বেঁচে যান তিনি। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পায় তাঁর স্ত্রী সন্তানও। বিশ্বযুদ্ধের পরের তিন বছরে তাঁর দুই মেয়ে হয়েছিল। তবে আজীবন তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব বয়ে বেড়াতে হয় তাঁদের।

২০১০ সালে ৯৩ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান সুতোমু। স্ত্রী এবং পুত্রও মারা যান ক্যানসারে ভুগে। মৃত্যুর আগে বিখ্যাত চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সুতোমুকে নিয়ে ছবি বানাতে চেয়েছিলেন জেমস।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সুতোমু একমাত্র মানুষ, যিনি দুটি হামলার স্বীকার হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তাঁকে হিবাকুশা উপাধি দেওয়া হয়। জাপানি হিবাকুশা শব্দের বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘পারমাণবিক হামলায় জীবিত’। নিভৃতচারী এই মানুষটি ‘অ্যান্ড দ্য রিভার ফ্লোজ অ্যাজ আ র‌্যাফ্ট অব কর্পসেস’ নামে একটি কবিতার বই লিখেছিলেন। টোয়াইস বম্বড, টোয়াইস সার্ভাইভ্‌ড’-নামে একটা তথ্যচিত্রও তৈরি করা হয় তাঁকে নিয়ে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭