কালার ইনসাইড

বলিউড তারকাদের পরকীয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/08/2018


Thumbnail

বলিউড তারকাদের মুখোরোচক খবরের অন্ত নেই। সেখানে বারবারই ঘুরেফিরে আসে তাদের এ পরকীয়া প্রেমকাহিনী। সংসার থাকা অবস্থায় মাতে পর পুরুষ কিংবা নারীতে। অনেকে এই সম্পর্কের চুরান্ত পরিনতি বিয়ে করে ফেলেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিফল হতে হয়...

নায়ক- নায়িকার পরকীয়া:

মিঠুন- শ্রীদেবীর চুপিচুপি প্রেমের খবর কে না জানে। শ্রীদেবী বারবার পরকীয়ায় মাতেন। এমনও খবর চাউর হয়েছিলো গোপনে বিয়ে করেছেন মিঠুন-শ্রীদেবী। এ খবর শোনার পরে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি। তবে সে সম্পর্ক খুব বেশিদিন গড়ায়নি। সে সময় বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা শ্রীদেবীকে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে আশ্রয় দেন। কে জানতো তার কপাল পুরবে। স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে শ্রীদেবীর। সন্তান সম্ভাবা শ্রীদেবীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন বনী। বিপরীতে প্রথম স্ত্রীকে তালাক।

শোনা যায় হৃতিক রোশন ও সুজানা খুব অল্প বয়সেই প্রেমে পড়েন। বিয়েটাও খুব তাড়াতাড়ি করে ফেলেন। কিন্তু হৃত্বিক বারবার মাতেন পরকীয়াতে। কারিনা কাপুর, বারবারা মোরি, কঙ্গনা রনৌত- তিন সন্দরীর সঙ্গে প্রেমের খবর রটে। শেষে নিজের সংসারটাই বাঁচাতে পারলেন না।  

সঞ্জয় দত্তের প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার মৃত্যুর পরেই মাধুরী দিক্ষিতের সঙ্গে সঞ্জয় দত্তের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে অনেকে বলে রিচা বেচে থাকতেও মাধুরির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সঞ্জয়ের।

সবচেয়ে আলোচিত অমিতাভ বচ্চন- রেখার প্রেমের গুঞ্জন। `দো আনজানে` নামে একটি ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের মধ্যে এ পরকীয়া প্রেমের সৃষ্টি হয় বলে অনেকে মনে করেন। এমন ঘটনা শোনা গিয়েছিলো ছবির শুটিংয়ের সময় রেখার একজন বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে একান্তে সময় কাটাতেন। এছাড়া আরো বেশকিছু ছবিতে শুটিং করার সময় তারা আরও কাছাকাছি আসেন। একথা জয়ার কানে পৌঁছাতেই স্বামীর সংসার রক্ষা করার জন্য রেখার সঙ্গে কথা বলেন। অত:পর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন।

আদিত্য পাঞ্চোলি-কঙ্গনার প্রেমের খবরও প্রায় সবার জানা। মেয়ের বয়সী কঙ্গনাকে রীতিমতো মারধর করতো আদিত্য। এমন সম্পর্ক আর খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

নায়িকা-পরিচালক পরকীয়া:

বলিউড পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সময় ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে অভিনেত্রীদের। কারও সরাসরি নাম জড়িয়েছে। যেমন মহেশ ভাট- পারভিন ববি। কেউ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন, কেউবা অস্বীকার করেছেন। অনেকক্ষেত্রে বিবাহ ভেঙ্গে নতুন বিয়ে করেছেন…

আদিত্য চোপরার প্রথম স্ত্রী পায়েল খান্নার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবনে ছেদ পড়ে রানীর জন্য।  পরবর্তীতে রানিকে বিয়ে করেন আদিত্য। রয়েছে মেয়ে আদিরা।

রোহিত শেঠির সঙ্গে ২০০৫ সালে বিয়ে হয় মায়ার। বেশ ভালই কাটছিল। ‘বোল বচ্চন’ ছবির শুটিংয়ের সময় প্রাচী দেশাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন রোহিত। যদিও সে প্রেমের সফল পরিনতি দিতে পারেননি তাঁরা।

স্ত্রী আরতির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংসার ছিল অনুরাগ কাশ্যপের। ‘দেব ডি’ সিনেমার শুটিংয়ে দেখা মেলে কালকির। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ছয় বছরের বিবাহিত জীবন ভেঙ্গে কালকিকে বিয়ে করেন। অবশ্য চার বছর পরে কালকীর সঙ্গেও সম্পর্ক ভাঙ্গে অনুরাগের।

পরিচালক বিক্রম ভাটের সঙ্গে পরকীয়ায় মাতেন সুস্মিতা সেন। প্রাক্তন মিস ইউনিভার্সের সঙ্গে নাকি লিভ-ইনও করতেন এ পরিচালক। বিচ্ছেদ হয়ে যায় ছোটবেলার প্রেমিকা অদিতির সঙ্গে। সুস্মিতার সঙ্গেও সম্পর্কটা টেকেনি।

স্ত্রী গীতার সঙ্গে বেশ ভালই ছিলেন পরিচালক রমেশ সিপ্পি। কিন্তু দূরদর্শনের একটি শোয়ের সময় গিয়ে আলাপ হয় অভিনেত্রী কিরণ জুনেজার সঙ্গে। গীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় রমেশের। কিরণকে বিয়ে করেন ‘শোলে’ পরিচালক।

পরিচালক গুরু দত্তের স্ত্রী ছিলেন কিংবদন্তি গায়িকা গীতা দত্ত। কিন্তু নায়িকা ওয়াহিদা রহমানের প্রেমেই নাকি মজেছিলেন পরিচালক। প্রেম পূর্ণতা না পাওয়ার কারণেই নাকি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন গুরু দত্ত।

‘লগান’ সিনেমার সহকারী পরিচালক ছিলেন কিরণ। সেখানেই তাঁদের প্রণয়পর্বের সূচনা। সেই সময়ে আমির তাঁর স্ত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে সংসার করছেন। ১৬ বছর রিনার সঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটানোর পর তাঁকে ডিভোর্স দেন আমির। বিয়ে করেন কিরণকে। 

কিরণ ভাটের সঙ্গে ভালোই সংসার চলছিল মহেশ ভাটের। সিনেমা করতে গিয়ে আলাপ হল নায়িকা পারভীন ববির সঙ্গে। সম্পর্কের জল গড়ায় অনেক দূর। যদিও সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। সে সম্পর্ক নিয়ে মহেশ ‘ও লামহে’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন। 


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭