লিভিং ইনসাইড

প্রতিদিন হালকা দৌড়ের অভ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/08/2018


Thumbnail

শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটার গুরুত্ব কতোখানি সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু শুধু না হেঁটে একটু হালকা দৌড়ের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ এতে শরীর অনেক বেশি সচল হয়ে ওঠে। তাই সপ্তাহে অন্তত ৫দিন আধাঘণ্টা করে দৌড়ান। তাতে এই সুফলগুলো পাবেন-

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর করে

শুনতে অবাক লাগে যে দৌঁড়ানোর সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সম্পর্ক আছে। সকালে দৌঁড়ানোর অভ্যাস করলে শরীরে বেশিক্ষণ সূর্যালোক পড়ে। ফলে দেহের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি অনেকটাই মেটে। আমাদের শরীরকে সচল রাখতে এই ভিটামিনটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আর সকালের মিষ্টি রোদ আমাদের জন্য খুবই আরামদায়ক।

মানসিক চাপ কমে যায়

বিভিন্ন মানসিক চাপে থাকা আমাদের একটি বড় সমস্যা এখন। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট হালকা দৌঁড়ালে মস্তিষ্কের ভিতরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে দুশ্চিন্তা এবং অবসাদও কমে যায়। তাই মানসিক চাপ বেশি হয়ে গেলে অবশ্যই হালকা দৌঁড়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে

গবেষণায় প্রমাণিত যে, নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস করলে মস্তিষ্কের ভেতরে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ  বেড়ে যায়। ফলে মস্তিস্কের ওপর বয়সের ছাপ পড়ে না। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে। তাই নিয়মিত দৌড়ান, বুদ্ধিদীপ্ত হন।

অবসাদ উৎকণ্ঠা কমে যায়

দৌড়ানোর সময় আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এন্ডোক্যানাবিনয়েডের মতো ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদের অবসান ঘটে। মন থেকে আবেগ, উৎকণ্ঠা আর বিরক্তিভাবও চলে যেতে থাকে।

আর্থ্রাইটিস রোগ সারাতে পারে

আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা কারণে শরীরে জয়েন্ট দুর্বল হতে শুরু করে। যে কারণে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে একটা জিনিসই সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে। সেটা হলো প্রতিদিন নিয়মিত ৩০ মিনিট দৌড়াতে হবে। এতে করে জয়েন্টের সচলতা বাড়বে, হাড়ের রোগ কমে যাবে।

শরীরের বিভিন্ন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

দৌড়ানোর সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা মেদ ঝরতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, দৌড় থামিয়ে দেওয়ার অনেক পর পর্যন্তও এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ফলে ওজন কমে দ্রুত। । এই কারণে শরীরকে মেদমুক্ত করে তুলতে চিকিৎসকেরা নিয়মিত দৌড়ানোর পরামর্শ দেন।

গোড়ালির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

সারাদিন আমাদের শরীরে উপরের অংশের ভার বহন করে গোড়লি। তাই একটা বয়সের পর থেকে গোড়ালির চোট পাওয়া বা অন্য কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত দৌড়াতে হবে। কারণ দৌড়নোর সময় শরীরের এই বিশেষ অংশে বোন মাস বাড়তে শুরু করে। সঙ্গে পেশীর কর্মক্ষমতাও বাড়ায়। গোড়ালির সচলতা বেড়ে যায় কোনো সমস্যা থাকে না আর।

ক্যানসার প্রতিহত করে

ক্যানসার আমাদের জন্য মহামারী। এই রোগকে রুখতে দৌড়ের কোনো বিকল্প হয় না। আসলে এ দৌড়ের সময়ে শরীর সচল হয় বলে কিছু পরিবর্তন ঘটে। ফলে ক্যানসার সেল খুব একটা অ্যাকটিভ থাকতে পারে না।


সূত্র: বাংলা বোল্ডস্কাই

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭