টেক ইনসাইড

জেমস বন্ডের ‘উড়ন্ত গাড়ি’ মিলবে বাস্তবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/08/2018


Thumbnail

প্রতিবছর জুলাইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে ‘ফার্নবারো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশো’র আয়োজন করে ব্রিটেন। এই এয়ারশো’তে বিভিন্ন দেশের তৈরিকৃত নতুন নতুন বিমান নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য বিমানগুলোই এখানে আনা হয়। তবে এই উল্লেখযোগ্য বিমানগুলোর মধ্যেও কিছু বিমান থাকে যেগুলো ‘অতি উল্লেখযোগ্য’। তেমনই একটি বিমান ‘লিবার্টি’।

বলছিলাম, পাল-ভি কোম্পানির তৈরি বিশ্বের প্রথম ‘উড়ন্ত গাড়ি’র কথা। একে ‘গাড়ি বিমান’ বা ‘উড়ন্ত গাড়ি’ও বলা যেতে পারে। একটু বিস্ময়কর মনে হলেও, ঘটনা সত্য। গাড়িটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, চাইলেই এর চালক রাস্তায় স্বাভাবিক গাড়িগুলোর মতো চালাতে পারবে। আবার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বিমানের মতো আকাশ পথে উড়িয়ে নিতে পারবে। সম্প্রতি ব্রিটেনের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশোতে এই গাড়িই নিয়ে গিয়েছিল পাল-ভি কেম্পানি। আর এই ‘উড়ন্ত গাড়ি’ ২০২০ সাল নাগাদ বাজারে আসবে বলেও জানায় তারা।

বিশ্বে প্রথম ‘উড়ন্ত গাড়ি‘ হিসেবে এটি পরিচিতি পেলেও এর ধারণা বহু আগে থেকেই এসেছে বলে জানা যায়। ১৯৩১ সালে আমেরিকান বিমান চালকদের অগ্রদূত এবং লেখক অ্যামিলিয়া ইয়ারহার্ট প্রথম এমন ধারণা দিয়েছিলেন। এর তিন বছর পর ‘ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট’ সিনেমায় এমন একটি ‘উড়ন্ত গাড়ি’র দেখা পাওয়া যায়। এরপর ১৯৬৭ সালে জেমস বন্ড সিরিজের মুভি ‘ইউ অনলি লিভ টুয়াইস’ সিনেমায় এমন উড়ন্ত গাড়ির দেখা মেলে।

লিবার্টি দেখতে কিছুটা ছোট বিমানের মতো। তবে এর পাখাগুলো দেখতে জেমস বন্ডের ০০৭ সিনেমার ‘উড়ন্ত গাড়ি’র মতো। পাল-ভি এর মতে, মাত্র ৯০ মিটার রানওয়েতেই গাড়িটি উড়তে ও অবতরণ করতে সক্ষম। উড়ন্ত অবস্থায় গাড়িটি সর্বোচ্চ দুই জনকে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। এটি নামার পর ১০ মিনিটের মধ্যে পুনরায় গাড়ির মোডে চলে আসতে পারে। গাড়িটি পেট্রোলে চলে, তাই সহজেই জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব। তাছাড়া গাড়িটির ইঞ্জিন ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কম। কারণ এর দুটি ইঞ্জিনই একে অপরের বিপরীতে কাজ করে। এর পাশাপাশি ‘উড়ন্ত গাড়িটিতে’ সেফটি মোডও রয়েছে।

পাল-ভি কোম্পানির পাইলট টাইলেন বলেন, এই উড়ন্ত গাড়িটি বিমানবন্দর বাদেও যেকোনো রানওয়েতে অবতরণ করা সম্ভব। ইচ্ছা হলে এটা সমুদ্রের কিনারা থেকে শুরু করে ফাঁকা কোনো মাঠেও অবতরণ করানো সম্ভব। এর জন্য শুধু ৯০ মিটার রানওয়ে প্রয়োজন। তবে এটি নিজের করে পেতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার ব্যয় করতে হবে। আর এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কয়েয়’শ বার বিমান ও উবার ভাড়া করা যায় বলেও তিনি জানান।


সূত্র: বিবিসি

বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭