নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 16/08/2018
সরকারের আদায়কৃত রাজস্বের সিংহভাগই যোগান দিয়ে থাকে বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই রয়েছে বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায় হওয়া মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের ৬০ শতাংশের বেশি আদায় হয় ১৭৫টি বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। এসব প্রতিষ্ঠান এনবিআরের বৃহত্ করদাতা ইউনিট বা এলটিইউ-ভ্যাট অফিসে রাজস্ব প্রদান করে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর মধ্যে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গত পাঁচ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগেরই প্রবণতা হলো— অর্থ পরিশোধ না করে মামলা করা। মামলা করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখেছে তারা বছরের পর বছর ধরে। এমন ২৩৫টি মামলা হয়েছে, যেখানে আট হাজার ৩৪৫ কোটি টাকার রাজস্ব সংশ্লিষ্ট। এরমধ্যে মধ্যে আলোচ্য সময়ে এক হাজার ৪৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। আরো প্রায় দুইশ’ মামলায় সাত হাজার তিনশ’ কোটি টাকার রাজস্ব ঝুলে আছে। (ইত্তেফাক)
অন্যান্য সংবাদ
খেলাপি ঋণের ভারে ন্যুব্জ
দেশের ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ২৩টির খেলাপি ঋণ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এর মধ্যে সরকারি খাতের ৮টি ব্যাংকের মধ্যে একটি ছাড়া বাকি ৭টি ব্যাংকেরই খেলাপি ঋণ এই সীমা অনেক আগেই অতিক্রম করেছে। এছাড়া বেসরকারি খাতের ৪০টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫টি এবং বিদেশি ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ১টির খেলাপি ঋণ হাজার কোটি টাকার ওপরে রয়েছে। এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৮৩.৫ শতাংশ। বাকি ৩৪টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের সাড়ে ১৬ শতাংশ। মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। (যুগান্তর)
অপশক্তিকে প্রতিহত করার দৃপ্ত অঙ্গীকার
সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার দৃঢ় শপথের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার সারাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এদিন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করেছে গোটা জাতি। সব কর্মসূচিতেই কোটি মানুষের কণ্ঠে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের খুনিদের প্রেতাত্মা এবং স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান ছিল। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত অঙ্গীকারও উচ্চারিত হয়েছে জোরেশোরে। (সমকাল)
কৌশলে ভোগান্তি কমানো সম্ভব
অদক্ষ চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় সড়ক আজ অনিরাপদ। এ কারণে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরছে গড়ে কম হলেও ১৩ ব্যক্তির। প্রতিবছরই ঈদের আগে-পরে দুর্ঘটনার হার আরো বেড়ে যায়। ঈদুল আজহা আগামী ২২ আগস্ট। এবারও নাড়ির টানে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে হলেও কর্মস্থল থেকে ঘরমুখো হবে। আগামীকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তবে মনে করা হচ্ছে, আজ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই পাঁচ দিনে যাত্রীদের চাপ পড়বে বাস, ট্রেন, নৌপথে। বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষা মতে, দেশে ৮৮ শতাংশ যাত্রীই সড়কযানে চলাচল করে, ঈদে এই চাপ আরো বেড়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, এবার সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কড়াকড়ি থাকায় বাস সংকটের কারণে যাত্রীদের বাস সংকটে ভুগতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা সড়ক, নৌ ও রেলপথে সমন্বয়ের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের সুপারিশ করেছেন। যাত্রীদের প্রতিও তাঁদের অনুরোধ হচ্ছে, বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থ প্রয়োজনে জলাঞ্জলি দিতে হবে। এবার সড়কে যানবাহন সংকট প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার ঈদ যাত্রার মৌসুমে বৈধতা শতভাগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় সরকার তৈরি পোশাক কারখানা ভিন্ন দিনে ছুটি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। (কালের কণ্ঠ)
উসকানিদাতারা চিহ্নিত, অভিযানে র্যাব-পুলিশ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে ও উসকানি দিয়ে সহিংসতা ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্তদের সন্ধানে একযোগে কাজ করছে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবকটি ইউনিট। এরইমধ্যে শতাধিক উসকানিদাতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে গুজব রটনাকারী শতাধিক আইডিও শনাক্ত করা হয়েছে। এসব আইডির অধিকাংশ ফেক বলে জানা গেছে। এরইমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ৫১টি মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে। এসব মামলায় গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে সাভার মডেল থানায়ও অনুরূপ মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, উসকানিদাতা ও গুজব যারা ছড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করা গেছে। অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। ফেক আইডি বন্ধ করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। (ভোরের কাগজ)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭