কালার ইনসাইড

‘মনের মধ্যে যতই কষ্ট থাকুক, মুখে হাসি রাখতেই হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/08/2018


Thumbnail

মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কিংবা মলিউডের ছবি যারা দেখেন, তারা দুলকারকে একনামে চেনেন। দুলকার সালমান! বাবা মাম্মুথিকে তিনি ছাড়িয়ে যাবেন, একথা অনায়াসে বলে দেয়া যায়। উস্তাদ হোটেলের হাস্যোজ্জ্বল ফায়জাল, রহস্যময় চার্লি কিংবা ব্যাঙ্গালোর ডেইজের আজু- তাঁর অভিনীত সবগুলো চরিত্রই চোখে লেগে থাকার মত। তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার। সেই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য দেয়া হল।  

আপনার বাবা মামুত্তি দক্ষিণের সুপারস্টার। ছোটবেলায় সেটে যাওয়ার স্মৃতি মনে আছে?

দুলকার: প্রায়ই সেটে যাওয়া হত। গেলেই তখনকার কোল্ড ড্রিংকসগুলো খেতে পেতাম, সেটা মনে আছে। বাবা হাতে দিয়ে দিতে। আমি বসে বসে তা খেতে থাকতাম। বোরিং ছিল ব্যাপারটা। সেটে তো সবকিছু স্লো চলে। বাচ্চাদের ভালো লাগা কোন ব্যাপারই সেটে হয় না। তবে বাবা যে এসব থেকে দূরে রাখতেন এমনটা নয়। প্রায়ই আমি আর মা সেটে যেতাম।

ছোটবেলা থেকেই কী অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে ছিল?

বাড়ি থেকে কখনো উৎসাহ পাইনি। বিশেষ করে বাবা তো কখনোই চাননি আমি অভিনয়ে আসি। সত্যি বলতে মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতে সেকেন্ড জেনারেশন খুব একটা সফল হতে পারেনি। তাই বাবা ভয় পেতেন। এখন উনি খুশি! মুখে সমলোচনা করলেও হাবভাব দেখে বোঝা যায় অখুশি নন।

অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত কবে নিয়েছিলেন?

আমেরিকা পড়াশুনা করে দুবাইতে ভালো বেতনের চাকরি করছিলাম। সব কিছু ছেড়ে অভিনয় শুরু করি। বাবা সাবধান করেছিলেন। এটা কোন কর্পোরেট জব নয়, একটা গেলে আরেকটা আসবে। এখানে একটি সিনেমা পুরো ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিতে পারে। এখনো যতই রাগ আসুক, কারো সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করতে পারবে না। এখানে মনের মধ্যে যতই কষ্ট থাকুক, মুখে হাসি ভাব রাখতে হবে। কিন্তু একটা সময়ে মনে হল এটা আমার ট্রাই করা উচিত। জন্মগত কিছু ব্যাপারতো থাকে।

হিন্দী ছবির অফার কবে আসে?

অনেক আগেই এসেছিল। বিশেষ করে আমার মালায়ালাম সিনেমার রিমেক করার কথা হয়েছে। কিন্তু তাতে মন সায় দেয়নি। অপেক্ষা করছিলাম মৌলিক কোন স্ক্রিপ্ট আসার জন্য। ‘কারবা’র গল্প আর ইরফান খানের সঙ্গে কাজের সুযোগ- দুটোই আমার জন্য বড় পাওয়া। তবে আমার কাছে মালয়ালাম ছবিরই প্রাধান্য বেশি। ওটা আমার ঘর। বলিউডে অতিথি হয়ে কাজ করতে চাই।

ইরফান খানের ভক্ত হলেন কবে?

খুব বড় ভক্ত আমি। আমি যে অভিনয়টা করতে চাই। সেটাই সে সবচেয়ে ভালো করতে পারে। তার সংস্পর্শে শেখার কোন শেষ নেই। ওনার এখন খারাপ সময় যাচ্ছে। ওনার ভক্ত কিংবা সহকর্মীদের মতো আমারও প্রার্থনা যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। শুটিংয়ের সময় মনেই হয়নি উনি এমন রোগে ভুগছেন।

সামনে সোনম কাপুরের সঙ্গে ‘জ়োয়া ফ্যাক্টর’ করছেন। প্রস্তুতি কেমন?

একজন ক্রিকেট ক্যাপ্টেনের চরিত্রে আমি। দু’সপ্তাহের একটা ট্রেনিং সেশন শুরু করব। সোনমের ‘নীরজা’ অসাধারণ ছিল। আশাকরি ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭