নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 17/08/2018
আরা লম্বা, ঝলমলে আর স্বাস্থ্যেজ্জ্বল চুলকে সবাই ভালোবাসি। কিন্তু চুলের যত্ন নেওয়াটাকে অনেকটাই ঝামেলা মনে হয়। আর চুলের চুলের যত্ন না নিলে সেটি হয়ে যায় রুক্ষ এবং বিবর্ণ। এজন্য সবসময়েই চুলের সমস্যা লেগে থাকে। তাই একটু সচেতন হোন, নিজের চুলের যত্ন নিন।
নিয়মিত চুল কাটুন
চুল ভালো রাখতে নিয়মিত চুলের আগা কাটতে হবে। এতে চুলের আকার সুন্দর থাকে, চুলের আগা ফাটে না। চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও কমে যায়। অন্তত তিন মাস পরপর একবার চুল কাটিয়ে নিন। এতে চুল ভালো থাকবে। অস্বাস্থ্যকর চুলের সংখ্যাও কমে যাবে।
ডিপ কন্ডিশনিং করতে পারেন
চুলের পরিচর্যা করলে সেটা নিয়মিত করতে হবে। এজন্য মাসে অন্তত একবার প্রাকৃতিক উপায়ে চুল ডিপ কন্ডিশনিং করা দরকার। এজন্য আপনার দরকার নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল বা সরিষার তেল। এগুলো চুলের জন্য ভালো কন্ডিশনার। এই যেকোনো তেল তিন চামচ পরিমাণে নিন। তারপর হালকা ঠাণ্ডা করে তেলটা চুলের গোড়ায় এবং গোটা চুলে ভালো করে মেখে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
চুল সঠিকভাবে আঁচড়ান
চুল আচড়াতে আমরা অনেক সময়েই ভুল করে ফেলি। ভুলেও কখনো ভেজা চুল আঁচড়াতে যাবেন না। এতে চুল ভেঙে যায় বা ছিড়ে যায়। চুল থেকে পানি ঝরিয়ে মোটামুটি শুকিয়ে নিন। এরপর মোটা চিরুনি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিন। প্রথমে নিচের দিকের চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। তারপর উপরের দিকসহ সব চুল আঁচড়ে নিন।
শ্যাম্পুর আগেই লাগান কন্ডিশনার
শ্যাম্পুর পরে আমরা মূলত কন্ডিশনার লাগাই। কিন্তু শ্যাম্পু করার আগেও কন্ডিশনার লাগানো যায়। একে বলে প্রি-কন্ডিশনিং। অর্থাৎ শ্যাম্পু করার আগেই কন্ডিশনার লাগানোর পদ্ধতি। যাদের চুল কোঁকড়া আর রুক্ষ, তারা প্রি-কন্ডিশনিং করলে দারুণ ভালো ফল পাবেন।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু করবেন না
প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের উপরে স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ নষ্ট হয়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়। সপ্তাহে ২-৩ বারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না। চাইলে আপনি বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল ভালো থাকবে।
ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক
আপনি বাইরের কেমিক্যাল দেওয়া পণ্য চুলে ব্যবহার না করে ঘরে বসেই মাস্ক বানিয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য নারিকেল তেল, কলা, মেয়নিজ, ডিম, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, টক দই দিয়ে বানিয়ে নিন বিভিন্ন ধরনের হেয়ার মাস্ক। এটি চুলের গোঁড়ার পুষ্টি যোগাবে।
ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে রাখুন
আমরা অভ্যাসের বশে বা সময়ের অভাবে অনেক সময়েই রাতে খোলা চুলেই ঘুমিয়ে যাই। এতে কিন্তু চুলের বেশ ক্ষতি হতে পারে। চুল খোলা অবস্থায় ঘুমালে বালিশের সঙ্গে ঘষা লেগে চুল উঠে যেতে পারে। এছাড়া চুলে জট পড়ে রুক্ষ ও অমসৃণও হয়ে যেতে পারে। তাই চুল সবসময় বেধে রেখে ঘুমান।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭