ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ১০,০০০ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/08/2018


Thumbnail

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭ বিমানটি প্রায় বিশ হাজার গ্যালন জেট ফুয়েল নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে আঘাত করে। মুহূর্তের মধ্যে কয়েকশ মানুষ মারা যায়। বহু মানুষ আটকা পড়ে।

টুইন টাওয়ার হামলার এই ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। সেই অভিশাপ এখনো বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে আমেরিকা। ওই সময় ঘটা বিস্ফোরণের দূষণে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন, এদের মধ্যে অন্তত ১০,০০০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে। সম্প্রতি নিউেইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টুইন টাওয়ার বিস্ফোরণে জেট ফুয়েল, অ্যাসবেস্টস, সিমেন্ট ও কাঁচের গুড়া মিশে ওখানকার বায়ুমণ্ডল দুষিত হয়ে পড়ে। আর এই দূষণের ফলেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ৯,৭৯৫ জন আমেরিকান।

ডব্লিউটিসি হেলথ প্রোগ্রমের জরিপে দেখা যায়, ২০১৬ সালে এই ঘটনায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৩,২০৪ জন। ২০১৭ সালে এর সংখ্যা ছিল ৮,১৮৮ জন। বর্তমানে যা প্রায় ১০,০০০ এ দাঁড়িয়েছে।

ডব্লিউটিসি হেলথ প্রোগ্রম এর মেডিকেল ডিরেক্টর মাইকেল ক্রেন জানিয়েছেন, ‘প্রতি সপ্তাহে ১৫-২০ বার আমাদের কাছে রোগীর সংখ্যা পঠানো হয়। যাই চেষ্টা করা হোক না কেন, আমেরিকার বয়ষ্ক অধিবাসীদের মধ্যে ক্যান্সারে প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিনটির পর থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১,৭০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪২০ জনই ক্যান্সারে আক্রান্ত। মেডিকেল ডিরেক্টর মাইকেল ক্রেনের দাবি, বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষ প্রভাবে থাইরয়েড ক্যান্সার ও ত্বকে মেলানোমার হার বাড়ছে। একইসঙ্গে ব্লাড ক্যান্সারে প্রবণতাও বাড়ছে।  এর পাশাপাশি আমেরিকার জনসংখ্যার মধ্যে স্তন ক্যান্সার ও কোষজনিত সংক্রামক হারও বাড়ছে।

বাংলা ইনসাইডার/বিপি

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭