ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

একটি মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আপনাকে প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/08/2018


Thumbnail

বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা হলেও, বাস্তবে তাঁর প্রয়োগ কম। সব ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্থ হচ্ছে গণমাধ্যম। এর মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

মার্কিন গণমাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধারাবাহিক আক্রমনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। বোস্টন গ্লোবের আহবানে সাড়া দিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রচারে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।

১৭৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের বছরে বিখ্যাত মার্কিন রাজনীতিবিদ টমাস জেফারসন তার বন্ধুকে লেখেন, ‘সরকার ছাড়া সংবাদপত্র বা সংবাদপত্র ছাড়া সরকারের মধ্যে যদি আমাকে কোন একটি বাছাই করতে বলা হতো, তাহলে আমি অবশ্যই পরেরটাই করতাম।’

এর প্রায় বিশ বছর পর হোয়াইট হাউজের ভেতর থেকে প্রেস তত্ত্বাবধানের পর তার সে ধারণা পাল্টে যায়। তিনি মনে করেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন সংবাদের ওপরই এখন আর ভরসা করা যায় না। এখানে সত্যকেও সন্দেহভাজন মনে হয়।

১৯৬৪ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের আইনে বলা হয়,’উন্মুক্ত আলোচনা রাজনৈতিক দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত’। সেখানে আরও বলা হয়, আলোচনা এমন হওয়া উচিত যেখানে সব ধরনের সমালোচনা থাকবে। সরকারি কর্মকর্তাদের কটাক্ষ আক্রমণের মতো বিষয়ও উন্মুক্ত আলোচনায় থাকা উচিত।

কিন্তু জোরপূর্বক সত্যকে মিথ্যা খবর বলে চালিত করা গণতান্ত্রিক ধারার মধ্যে পড়ে না। সাংবাদিকদের ‘জনগণের শত্রু’ হিসেবে চিন্তা করা মোটেও উচিত নয়। সংবাদ মাধ্যমে এ ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের কম সুরক্ষিত শাসন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার সংবাদ মাধ্যম সান লুইস অবিসপো ট্রিবিউনের কথাই ধরুন, যেখানে এক কয়েদীর মৃত্যু সম্পর্কে লেখা হয়েছিল যাকে আটকে রাখা হয়েছিল ৪৬ ঘন্টা। জেলখানায় কয়েদীদের ওপর কত মারাত্মক নির্যাতনের চিত্র সেখানে ফুটে উঠেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত গণমাধ্যম সম্পর্কে পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে মার্কিন দৈনিকগুলো স্থানীয় দৈনিক থেকে শুরু করে শত শত সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।

বস্টন গ্লোব লিখেছে, ‘কেউ যতই ক্ষমতার অধিকারী হন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা সংবাদ মাধ্যমের ছিল। সংবাদ মাধ্যমকে ‘মানুষের শত্রু’ বলা মানে মার্কিন বিরোধী মানসিকতা।’

মার্কিন গণমাধ্যম দি নিউইয়র্ক টাইমসে গনমাধ্যমের প্রতি ট্রাম্পের আচরণকে ‘গণতন্ত্রের প্রাণশক্তির জন্য বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দি ইডিলওয়াইল্ড টাউন ক্রাইয়ার লিখেছে, ‘একজন ব্যক্তি যিনি নির্ভরযোগ্য খবরের উৎস মিথ্যা বলে বিস্ফোরন ঘটায়, তখন সেটি মনে হয় বাস্তবতা অস্বীকার করার মতো।’ –

সান সেন্টিনেল লিখেছে,‘মুক্ত গণমাধ্যমের চিন্তা আমাদের দেশে স্বপ্নের মতো হলেও আমাদের নেতাদের উচিত নয় সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ রেখে গণমাধ্যমকে চুপ করিয়ে রাখা’–

দি টপিকা ক্যাপিটাল-জার্নাল লিখেছে, ‘আমরা জনগণ থেকে আলাদা নই। সাধারণ মানুষ যেভাবে দিন যাপন করে আমরাও তাই করি। কাজেই, আমরা জনগণের শত্রু নই।’ –

দি ক্রোনিকল এক্সপ্রেস লিখেছে, ‘দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমরা কাজ করি। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায়ও আমাদের ভূমিকা রয়েছে।’

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭