লিভিং ইনসাইড

সন্তানের হোমওয়ার্কের কিছু সাধারণ কৌশল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/08/2018


Thumbnail

সন্তানদের পড়াশুনা নিয়ে বাবা-মায়েরা বরাবরই চিন্তায় থাকেন। তাদের পড়াশুনার একটি অন্যতম বিষয় হলো হোমওয়ার্ক বা বাড়ির কাজ। সন্তানকে মন দিয়ে বসিয়ে বাড়ির কাজ করানো বাবা-মায়ের কাছে অনেকটা কঠিনই। সারাদিনের ঝামেলা শেষে সন্তানকে নিয়ে পড়তে বসানো, পড়াশোনার দিকে নজর দিতে গিয়ে মেজাজ ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা এমন কোনো কঠিন বা গুরুতর কাজ না। সাধারণভাবে কিছু বিষয় মাথায় রেখে সন্তানের বাড়ির কাজে অভিভাবক হিসেবে আপনাকে মনোযোগ দিতে হবে।

১. সন্তানকে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় পড়তে বসার অভ্যাস করান। আর বাবা-মা দুজনেই যদি চাকরি করেন, তাহলে যদি বাসায় অন্য কেউ থাকে তাকে এ দায়িত্বটা নিতে হবে। আর শত ব্যস্ততার মাঝেও শিশুকে আলাদা সময় দিন অন্তত পড়াশুনার জন্য। আপনি অফিস থেকে তাকে তাড়াহুড়া করে পড়তে বসাবেন, সেটাও ঠিক নয়। এতে সন্তানও তাড়াহুড়া করে কোনোরকমে পড়াশুনা শেষ করে ফেলতে শিখবে। ধৈর্য ধরে সন্তানের পাশে বসুন, উৎসাহ নিয়ে বসান।

২. শিশুর সব কাজের জন্য আলাদা একটা পরিবশে দরকার। আর পড়াশোনার জন্য তো দরকারই। যে ঘরে অন্য লোকজন যাওয়া-আসা করে, বা যে ঘরে টেলিভিশন রয়েছে সেখানে শিশুকে পড়াবেন না। পড়ানোর সময়ে পরিবারের অন্যান্যরা যাতে আড্ডা বা টেলিভিশন না দেখে সেদিকেও নজর রাখে। আর নিজের কাছ থেকেও ফোনটি দূরে রাখুন। কারণ এগুলো কারণে সন্তানের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. সন্তানের হোমওয়ার্ক করার সময় একটানা পড়াবেন না। মাঝে মাঝে সন্তানকে কিছুটা বিশ্রাম দিতে হবে। মাঝখানে ফ্রি হওয়ার জন্য ছবি আঁকা, খেলা, সাইকেল চালানো, গল্পের বই পড়া বা তার পছন্দের যেকোনো কাজ করতে দিন কিছু সময়ের জন্য।

৪. পড়তে বসানোর আগে যা যা প্রয়োজন তা সঙ্গে নিয়ে বসুন। কেননা পড়ার মাঝখানেই যদি বইপত্র, খাতা, কলম এলোমেলোভাবে থাকলে সেটা বার বার নিয়ে আসা বা না থাকা মানে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটা।

৫.আরেকটা কথা মাথায় রাখবেন যে, হোমওয়ার্ক করার আগে সন্তানকে পড়াটা বুঝিয়ে দিতে হবে। সময়সাপেক্ষ হোমওয়ার্ক, যেমন প্রজেক্টওয়ার্ক বা কোনো অ্যাসাইনমেন্ট থাকলে তা ছুটির দিন সময় নিয়ে করাতে চেষ্টা করুন।

৬. প্রতিটি শিশুরই নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে উৎসাহ বেশি থাকতেই পারে। তাই সন্তানের প্রিয় বিষয় দিয়ে হোমওয়ার্ক করানো শুরু করবেন। কঠিন বিষয়গুলো যাতে শিশুর বেশি মাথা ঘামাতে হয়, সেগুলো প্রথম দিকে করিয়ে কষ্টটা আগেই কমিয়ে নিতে হবে। আর হালকা পড়া বা ছবি আঁকা শেষের দিকে করাবেন। এতে তার মনোযোগ ধরে রাখানো যাবে।

৭. আর একটা কথা কখনোই ভুলে যাবেন না যে, শিশুকে বকাঝকা করে কখনোই পড়াশুনা করানো যায় না। এতে করে পড়াশুনার মনোযোগ তো নষ্ট তো হয়ই, তার মানসিকতা ছোট হয়ে যায়। সে কিছু বুঝতে না পারলে বার বার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে অন্য কৌশল ধরে পড়ানোর চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, আনন্দ নিয়ে পড়াশুনা করলে সেটা আপনার সন্তানের জন্যই ভালো।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭