ইনসাইড ইকোনমি

লবণ শঙ্কায় চামড়া ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/08/2018


Thumbnail

প্রতি বছরের মতো এবছরও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে লবণের দাম। কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে বাড়তি চাহিদা থাকায় শেষ মুহূর্তে লবণের কৃত্রিম সংকটও তৈরি  করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। যদিও লবণ মালিক সমিতি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ঈদের সময়ে দেশে লবণের কোনো সংকট হবে না বলেও দাবি করেছে তারা।

বর্তমানে আটশ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা লবণ। গত একমাসে লবণের দাম বেড়েছে বস্তায় অন্তত একশ টাকা। চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে শেষ মুহূর্তে লবণের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে লবণ মিলগুলো।

চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে লবণ মিল মালিকরা জানান, কোরবানির অজুহাত দেখিয়ে বিদেশ থেকে লবণ আমদানির উদ্দেশ্যেই দাম বৃদ্ধির মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়।

মিল গেটে চামড়ায় ব্যবহারের উপযোগী লবণ প্রকারভেদে ১০ টাকা সাড়ে ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ৭৫ কেজি ওজনের লবণের বস্তার দাম পড়ছে সাড়ে সাতশ থেকে আটশ টাকা।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, সাম্প্রতিক কয়েক বছরগুলোতে দেশে বার্ষিক লবণের চাহিদা ছিল প্রায় ২০ লাখ টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৫ লাখ টনের কাছাকাছি। ঘাটতি মেটাতে গত বছর ৫ লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। এছাড়া প্রতিবছরই ৪ থেকে ৫ লাখ টন লবণ অবৈধভাবে দেশে আসে। সোডিয়াম সালফেট ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সল্টের নামে প্রতিমাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন লবণ আমদানি করা হয়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদন হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি হওয়ায় লবণের উৎপাদন কম হয়েছে। অন্যদিকে মহেশখালী-মাতারবাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও অন্যান্য শিল্প গড়ে ওঠার কারণে লবণ উৎপাদনের জমিও কমে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাহিদার তুলনায় এবার ১ লাখ ২৮ হাজার টন লবণের ঘাটতি রয়েছে। তবে এই ঘাটতি মেটাতে দেড় লাখ টন লবণ আমদানির সুপারিশ করেছে বিসিক।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ। আর সোয়া কোটি  চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে বড় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ১০ থেকে ১২ কেজি, মাঝারি চামড়ায় ৭ থেকে ৮ কেজি ও ছোট চামড়ায় ৫ থেকে ৬ কেজি লবণ দরকার হয়। সেই হিসাবে এবার কোরবানিতে এক থেকে দেড় লাখ টনের মতো লবণ লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭