নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 19/08/2018
গাবতলী গরুর হাটের প্রধান প্রবেশমুখের বাম পাশে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে বড় আকৃতির সব গরু। এখানে উৎসুক মানুষের ভিড় হাটের অন্য জায়গার তুলনায় একটু বেশি। বিশাল বিশাল দৈত্যাকৃতির সাইজের একেকটা গরু আছে এখানে। তবে সবার কৌতুহল কালো মানিককে ঘিরে।
দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিশালাকৃতির একটি মহিষ। মহিষের মতই কুচকুচে কালো দেখতে। লম্বা ও উচ্চতা মহিষের চেয়েও বড় হবে। গরুটির মাথা ও পায়ে সামান্য কিছু স্থান সাদা ছাড়া পুরোটাই কালো রঙয়ের। কালো মানিক নামের এই গরুটি এবারে গাবতলীর হাটে এনেছেন কুষ্টিয়ার খামারি দুলাল মিয়া।
অস্ট্রেলিয়ান জাতের এই গরুটি গত বছর দিনাজপুরের চিরিরবন্দর হাট থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন দুলাল। এক বছর পরম মমতা, আদর ও ভালবাসা দিয়ে তিনি এই গরুটিকে লালন পালন করেছেন। গরুটির রং কুচকুচে কালো হওয়ার কারণে দুলাল আদর করে নাম রাখেন কালো মানিক।
কালো মানিকের খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় করেছেন দুলাল। কালো মানিকের খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি এবং কাঁচা ঘাস।
ফ্যানের বাতাস ছাড়া কালো মানিক থাকতে পারে না। বিদ্যুৎ না থাকলে কালো মানিকের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থাও আছে। প্রতিদিন কয়েকবার করে গোছল করাতে হয় এই গরুটিকে। গোছলের পর আবার শুকনা কাপড় দিয়ে শরীরের পানি মুছে ফেলতে হয়। নাহলে ঠান্ডা লেগে যায় কালো মানিকের।
প্রায় বার বছর ধরে গরুর ব্যবসা ও লালন পালন করেন দুলাল মিয়া। কালো মানিক সমন্ধে জানতে চাইলে দুলাল জানান, ‘কালো মানিকের বয়স প্রায় চার বছর। গাবতলী হাটে আনার আগে মেশিনে গরুটিকে ওজন করলে ওজন পাওয়া হয় ১২শ কেজির একটু বেশি।’
দুলাল মিয়া কালো মানিকের দাম চাইছেন ২০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ক্রেতারা ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দর-দাম করেছেন এই গরুটির। ১৫ লাখের কাছাকাছি দাম পেলেই কালো মানিককে বিক্রি করে দিবেন বলে জানান দুলাল।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭