বাবার পরিচয় গোপন করে ট্রায়ালে রোনালদিনহোর ছেলে

পরিবারে কেউ বিখ্যাত হলে সাধারণত সেই পরিচয় দিতেই পছন্দ করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। কিন্তু প্রচলিত সেই ধারার বিপরীতে চলার মানুষও নেহাত কম নেই। এমনই এক ধারার বিপরীতে চলে শিরোনাম হলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় রোনালদিনহোর ছেলে হোয়াও মেন্দেস।

মেন্দেসের বয়স এখনো ১৩ হয়নি। কিন্তু এখনই নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রস্তুত তিনি। জীবনে সব ধরনের সফলতা পেতে বদ্ধপরিকর তিনি। অবশ্য সেখানে বাবার নামের কৃতিত্ব নিতে নারাজ তিনি। তাই বাবা রোনালদিনহোর নাম গোপন করেন মেন্দেস।

উঠতি খেলোয়াড় হিসেবে মেন্দেস এখনই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চান। সে কারণেই ফুটবল ট্রায়ালে গিয়ে বাবার নাম পরিচয় গোপন করেন। কিন্তু কিংবদন্তির ছেলে হিসেবে কথা। ঠিকই রোনালদিনহোর নাম প্রকাশ পায় ট্রায়ালে। এতেই খুব বিরক্তি ও কিছুটা অস্বস্তিতেই পড়ে যায় মেন্দেস।

একসময় ফুটবল বিশ্বকে বিস্ময় উপহার দেয়া রোনালদিনহোর ছেলেও উঠতি বয়সেই দারুণ ফুটবলার। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আরও পরিণত করতে চান তিনি। মেন্দেসের মধ্যেও স্কিল ও টেকনিকের বিচারে বাবার ছায়া এখনই ফুটে উঠেছে তাঁর।

ব্রাসিলিয়াতে বাবার পুরানো ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) ট্রায়ালে নিজেকে প্রমাণের জন্য বাবার নাম প্রকাশ না করেই অংশ নেন মেন্দেস। ক্রুজেইরোর ট্রায়ালেও নাম লেখান তিনি। দুই জায়গাতেই মেন্দেস নিজের বাবার পরিচয় গোপন রাখেন। সে চায় নিজের চেষ্টায় ক্লাব গুলোতে সুযোগ পাওয়ার। বাবার পরিচয়ে নয়।  

বাবার নাম প্রকাশের আগে ট্রায়ালে সবাইকে রীতিমত মুগ্ধ করেন তিনি। ব্রাজিলিয়াল ক্লাব ক্রুজেইরো তাঁকে দলে নেয়ার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে।ব্রাজিলের বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়। মেন্দেসের ১৪ বছর না হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সেরে নিবে ক্রুজেইরো। চুক্তির আগে অবশ্য ক্লাবে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করতে পারবে মেন্দেস। 

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বিয়ে করেন রোনালদিনহো ও ইয়ানানিনা নাতালিয়া মেন্দেস। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাদের সম্পর্ক মাত্র ২ বছর স্থায়ী হয়। এই দম্পতির সন্তানই হচ্ছে হোয়াও মেন্দেস। বর্তমানে মায়ের সঙ্গেই থাকেন মেন্দেস। মায়ের সঙ্গে থাকলেও মেন্দেসের স্বপ্ন বাবার মতো বড় তারকা ফুটবলার হওয়া।

বাংলা ইনসাইডার/এসএকে/জেডএ