ইনসাইড গ্রাউন্ড

বদলে যাওয়া বাংলাদেশ ফুটবল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/08/2018


Thumbnail

শক্তিশালী কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে ঈদের আগেই ঈদের আনন্দ এনে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় রাউন্ডের নক আউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে দারুণ উচ্ছেসিত পুরো বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থক ও অনুরাগীরা।

ভারতের সঙ্গে পিছিয়ে পরেও জয়, লাওসের সঙ্গেও পিছিয়ে থেকেও ড্র, সব কিছুই যেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের নীরব পরিবর্তন। যে পরিবর্তনে ছিল না কোনো আগাম সংকেত। এমন পরিবর্তনে অনেকের মনে প্রশ্ন কীভাবে বদলে গেল বাংলাদেশ?

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি অবশ্য জানিয়েছেন সেটার আসল রহস্য। জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবর্তনের পিছনের নানা অজানা সব তথ্য। যেগুলো বাংলাদেশকে রীতিমত গত দুইবছরে পরিবর্তন করে দিয়ে লড়াই করতে শিখিয়েছে।  

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

ফুটবলে নিয়মতান্ত্রিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে দিক থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়েই। কিন্তু বাংলাদেশ কোচ ও ট্রেনার মিলে সে কাজটাই করে দেখিয়েছেন। খেলোয়াড়দের খাদ্যাভ্যাসে এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন। চিনি, জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয় পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবারও খাওয়া যাবে না। ভাত খাওয়ার সুযোগ আছে এক বেলা, সেটাও পরিমাণে অল্প।

দেশের জন্য খেলা

বাংলাদেশের দলটি এখন তারুণ্য নির্ভর একটি দল। দলে খেলার আগে তাঁরা খুব কাছে থেকে সিনিয়রদের হারগুলো দেখে এসেছেন। সেখান থেকেই আসলে তাঁদের ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল তৈরি হয়েছে। কাতারের ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও তাঁরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছেন। দলীয় অনুশীলনের বাইরে ব্যক্তিগতভাবেই অনেক খেলোয়াড় নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করছেন।

হারের আগেই হেরে যাওয়ার মানসিকতা দূর

বাংলাদেশ প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগেই কম গোলের হারার মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামত। সেখানে আগে থেকেই হেরে বসা দল জিতার কথা চিন্তা করবে কিভাবে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের নাম দেখেই কাবু হয়ে যায় না। খেলার শেষ বাশি পর্যন্ত লড়াই করার জন্য প্রস্তুত তাঁরা।

গত সেপ্টেম্বরের কথা। ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধে তিন গোলে পিছিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল পরিশোধ করে ঠিকই জয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশ। সে সময়ের অনূর্ধ্ব ১৮ দলের অনেক সদস্য এবারের দলে রয়েছেন। চলতি বছর ম্যাচে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে লাওসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে দু গোল হজম করেও দ্বিতীয়ার্ধে দু গোল পরিশোধ করে মাঠ ছাড়েন এই তরুণেরা।

অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণ

এশিয়ান গেমস অনূর্ধ্ব ২৩ দলের খেলা হলেও মূল দলের তিনজন খেলোয়াড় থাকতে পারেন দলে। অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া ছাড়াও সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে আছেন গোলরক্ষক আশরাফুল রানা ও ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। এই তিন সিনিয়রদের সঙ্গে তরুন খেলোয়াড়দের সম্পর্ক ও সমন্বয় ছিল চোখে পরার মতো। বিপলু, বিশ্বনাথেরা যেমন সম্মান করে থাকেন জামালদের, তাঁরাও স্নেহের হাতে আগলে রাখেন বিপলুদের।

অভিজ্ঞ ও পরিপূর্ণ কোচিং ইউনিট

ইংলিশ কোচ জেমি ডের নেতৃতে বাংলাদেশের মোট কোচিং স্টাফ ছয়জন। জেমিসহ তিনজন রয়েছেন বিদেশী। বাকিরা হচ্ছেন বাংলাদেশি। যাকে যেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা তাঁরা আগে থেকেই বুঝে নিয়েছেন। নতুন করে বুঝিয়ে দেয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। ফলে অনেক ছোট ছোট বিষয়গুলো স্টাফদের নজর এড়ায় না। আলাদাভাবে ভুলগুলো নিয়ে কাজও করে থাকেন তাঁরা।


বাংলা ইনসাইডার/এসএকে 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭