ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে কোরবানির ঈদের ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/08/2018


Thumbnail

মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম উৎসব হল ঈদুল আজহা। প্রতি বছর জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ সারা বিশ্বে ঈদুল আজহা পালিত হয়ে আসছে। বাঙ্গালিরা একে বলে কোরবানির ঈদ। অনেকে আবার বলে থাকে বকরির ঈদ! জানেন কি, কোরবানি ঈদকে বকরির ঈদ কেন বলা হয়।

ঢাকায় যখন হিন্দু জমিদারদের আধিপত্য ছিল, সে সময় বকরি বা ছাগল কোরবানি করেই ঈদ উদযাপন করা হত। কারণ, তাঁরা ছিল গো হত্যার বিপক্ষে। সে সময় থেকেই ‘বকরির ঈদ’ নাম চলে আসছে, যেটি এখনো পুরান ঢাকায় ও বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। এমনকি ঈদের চাঁদ দেখার বার্তাও আসত সুদূর দিল্লি থেকে।

ক্ষমতার পালাবদলে মুসলমান শাসকদের আধিপত্য বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়। সর্বপ্রথম ১৯০৩ সালে সরকারি ছুটির তালিকায় যুক্ত হয় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার ছুটি। তাও মাত্র ১ দিন। তখনো এতটা মহাসমারোহে ঈদ উৎসব উদযাপন করা হত না। কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য থাকত শুধুমাত্র সমাজের বিত্তশালীদেরই। বিত্তবানরাই শুধু পারত একটি গরু একা কোরবানি দিতে। ভাগে কোরবানি দেওয়ার প্রচলন তখন তেমন একটা ছিল না। এরও প্রায় ৪৫ বছর পর চিত্রটা ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে।

১৯৪৭ সালের পর থেকেই রাজধানীর পাড়া মহল্লাগুলোতে ধুমধামের সাথে পালিত হতে থাকে কোরবানির ঈদ। তবে সে সময় লোকসংখ্যা ছিল অনেক কম। পশুর হাট ও পশুর সংখ্যাও ছিল কম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই বাড়তে থাকে ভাগে কোরবানি দেওয়ার প্রচলন। প্রতিবেশী ও সমবয়সীদের মধ্যে বাড়তে থাকে গরুর দাম ও আকার নিয়ে প্রতিযোগিতা।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭