ইনসাইড বাংলাদেশ

বর্জ্য পরিচ্ছনতার কী অবস্থা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/08/2018


Thumbnail

ঈদুল আজহার দিন পশু কোরবানির পরপরই বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা চিন্তার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোরবানির পশুর বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলার কারণে তা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়, পরিবেশ দূষিত করে। নালা-নর্দমায় ফেলা বর্জ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগের জীবাণু ছড়ায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হলে তা থেকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তখন বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশন হিমশিম খায়। সংবাদপত্র, টেলিভিশনসহ অনলাইন সংবাদম্যদ্যমগুলো কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কমবেশি প্রচারণা চালায়। সিটি করপোরেশনগুলোতে থাকে নানা উদ্যোগ। কিন্তু সেসব বিষয় আমলে না নিয়েই যত্রতত্র কোরবানি দেওয়া হয়। ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ২ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছাড়াও অতিরিক্ত হিসাবে সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০ জনকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করেছে। এছাড়া ৫ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ঈদের দিন বেলা ২টায় থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের শুরু হয়েছে। বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করা না গেলে এগুলো থেকে তীব্র দুর্গন্ধ সৃষ্টি হবে। একারণে রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়েছিল। রাখা হয়েছিল পানি, স্যাভলন, ব্লিচিং পাউডারসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ।

তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরবাসীকে নিজের বাসার সামনের রাস্তায়, অলিতে-গলিতে পশু কোরবানি দিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির আহ্বান জানালেও তেমন সাড়া মেলেনি। যত্রতত্র পশু কোরবানি করায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি কর্পোরেশনকে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে। রাজধানীর মিরপুর, সেগুনবাগিচা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য যেখানে-সেখানে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। নির্দিষ্ট পশুর হাটসহ অস্থায়ী হাটগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে।

নির্ধারিত স্থানে কোরবানি না করে বাসার সামনের রাস্তাতেই যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের অনেকেই জানান, শুধু নির্ধারিত স্থান ঠিক করলেই তো হবে না, সেটা আশেপাশ হতে হবে। এসব স্থান দূরে হলে তো আনা-নেয়ার সমস্যা হয়ে যায়। কে কষ্ট করে দূরে গিয়ে কোরবানি করবে? সে কারণে সবাই বাসার সামনেই কোরবানি করেছে। আমাদের এই এলাকার কেউই নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে যাইনি।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, রাজধানীতে আগের তুলনায় পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান ব্যবহারের সংখ্যা বেড়েছে। কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কয়েক হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করছে। পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে হটলাইন চালু করা হয়েছে। তবে একটু সচেতনতা আর সঠিক পরিকল্পনাই আমাদের এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজের অনেকেই।

বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ  

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭