নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 23/08/2018
ত্যাগের মহিমায় দেশজুড়ে উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। গতকাল বুধবার যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। ঈদুল আজহার পেরিয়ে গেলেও আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিভিন্ন অনুষঙ্গে কোরবানির আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ঈদের আগেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশু বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। সে অনুসারে ঈদের দিন সন্ধ্যা থেকেই সিটি করপোরেশনের গাড়িগুলো রাজধানীর ডাস্টবিন ও পথঘাটগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। কিন্তু তারপরও কিছু জায়গায় কুরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে। শহরের পথঘাট ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধোয়ার ফলে সারা শহরেই পাওয়া যাচ্ছে ব্লিচিং পাউডারে গন্ধ। ব্লিচিং পাউডার ছাড়া আরেকটি গন্ধে ম ম করছে রাজধানী। যে পরিবারগুলো ঢাকা শহরে ঈদ করেছে তাঁদের বাসার পাশ দিয়ে হাঁটার সময় বিভিন্ন আইটেমের গরুর মাংসের সুবাস ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে নাকে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঈদের পরদিনও পশু কোরবানি দিয়েছেন অনেকে। পুরান ঢাকার চকবাজার, বাবুবাজার, বকশীবাজার, নাজিরাবাজার, ওয়ারি, টিকাটুলি প্রভৃতি এলাকা ঘুরে এদিনও অনেককে পশু কুরবানি দিতে দেখা গেছে। ঈদের দিনে কসাইয়ের সংকট থাকায় অনেকে পরে কুরবানি দিতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে ঈদের দিনটা নির্বিঘ্নে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে উদযাপন করতে চান বলে ঈদের পরে কোরবানি দেন। এছাড়া ইসলামি শরীয়তেও ঈদের তিনদিন কোরবানি দেওয়া জায়েজ আছে । এসব কারণে এখনো রাজধানীতে কোরবানির আবহ বিরাজ করছে।
এছাড়া দীর্ঘদিনের নিয়ম মেনে ঈদের পরদিন রাজধানী ফাঁকা দেখা গেছে। পথে বের হলে তেমন কোনো জনমানুষ চোখে পড়ে না। তবে মাঝে মাঝে শিশুদের হাত ধরে পিতা-মাতা বের হন। আত্মীয়-স্বজনের বাসা কিংবা শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো গন্তব্য তাঁদের।
ঈদকে কেন্দ্র করে মোটামুটি ফাঁকা অলস এক নগরীতে পরিণত হয়েছে ঢাকা। কর্মমুখর মানুষ আবার রাজধানীতে ফিরে আসা শুরু না করলে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭