ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দিন শেষ ট্রাম্পের?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/08/2018


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুকীর্তি একের পর এক ফাঁস হয়েই চলেছে। তাঁর সাবেক নির্বাচনী প্রচার কর্মকর্তা পল মানাফোর্ট ইতিমধ্যেই কর ও ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আরেক মামলায় ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন নিজে তো দোষ স্বীকার করেছেনই, একইসঙ্গে ট্রাম্পের ওপরেও দায় চাপিয়েছেন। এর ফলে বড় ধরনের নির্বাচনী ও আইনি ঝুঁকির মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন স্বীকার করেন যে, পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস ও প্লেবয় মডেল ক্যারেন ম্যাকডোগালকে কয়েক লাখ ডলার দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর একজন মক্কেলের যৌন কেলেংকারি ফাঁস না করার জন্যই ওই অর্থ দেওয়া হয় বলেও স্বীকার করেন তিনি। কোহেন খুব স্পষ্টভাবে এটাও বলেন যে, সাবেক ওই মক্কেলই ঘুষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁকে।

কোহেন তাঁর জবানবন্দিতে সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি। সরকারপক্ষের আইনজীবীদের দেওয়া চার্জশিটেও ট্রাম্পের নাম নেই। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘ইনডিভিজুয়াল ওয়ান’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে কোহেনের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন, আদালতে কোহেন যে মক্কেলের কথা উল্লেখ করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বিবৃতিতে ডেভিস এমন প্রশ্নও করেছেন, ‘যদি কোহেন অপরাধী হন, তবে তার নির্দেশদাতা ট্রাম্প কেন অপরাধী হবেন না?’

বর্তমানে ম্যানহাটন আদালতে কোহেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনের প্রচার তহবিলে গরমিল, ব্যাংক জালিয়াতি ও কর ফাঁকিসহ ৮টি ফৌজদারি মামলা চলছে। একটি মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রচার তহবিলের হিসাবে প্রায় তিন লক্ষ ডলারের গরমিল রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার পর্নস্টার ড্যানিয়েলসকে এবং দেড় লাখ ডলার প্লেবয় মডেল ম্যাকডোগালকে দেওয়া হয় বলে আদালতকে জানিয়েছেন কোহেন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ওই দু’জনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

ট্রাম্প শুরু থেকেই স্টর্মি ও ক্যারেনের সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তাঁর বর্তমান আইনজীবী রুডি গিলিয়ানি, কোহেনের বক্তব্যকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প পরিবারকে বিব্রত না করার জন্য ডলার দেওয়া হয়েছিল স্টর্মি ও ক্যারেনকে। এর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের কোনো সম্পর্ক ছিল না।‘

আগামী ১২ ডিসেম্বর মাইকেল কোহেনের শাস্তি ঘোষণা করা হবে। ট্রাম্পের সাবেক নির্বাচনী প্রচারণা প্রধান মানাফোর্টও রয়েছেন রায়ের অপেক্ষায়। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ বিষয়ে বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের তদন্তটিও প্রক্রিয়াধীন। এমন অবস্থায় অনেকেই প্রশ্ন করছেন, ট্রাম্পের দিন কি শেষ হতে চলেছে?

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭