ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সংকটের এক বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/08/2018


Thumbnail

কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করেন জোবেদা খাতুন। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন তিনি। নিজে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসতে পারলেও স্বামী ও দুই সন্তান মৃত্যু বরণ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে। শরণার্থী হিসেবে জোবেদা খাতুন বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় সন্তুষ্ট কিন্তু এখনো তাঁর বুকে নির্যাতনের দগদগে ক্ষত আর মনে স্বপ্ন হয়তো আবারও কখনো সম্ভব হবে নিজ ভূমে ফিরে যাওয়ার।

নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। পরবর্তীতে এই শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এই ঘটনাকে রোহিঙ্গা সংকট বলা হচ্ছে। রোহিঙ্গা এই সংকটের প্রথম বার্ষিকী আজ।

‘৮০ এর দশকেই নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করে মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। এরপর নানাবিধ উপায়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিদন চলতে থাকে যা গত বছর ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ প্রথম থেকেই নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়। কিন্তু শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গাদের আজীবনের জন্য আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এবং রোহিঙ্গা সংকটের কারনে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন কিছু সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে নানা রকম কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে। সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাঁচ দফা প্রস্তাবও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৭ সালের নভেম্বরে চুক্তি সই করে মিয়ানমার। কিন্তু প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ব্যাপারে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে।

পরবর্তীতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করে মিয়ানমার। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর, মিয়ানমার এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প- ইউএনডিপিও এই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে চুক্তিবদ্ধ হয় ।

বর্তমানে সম্প্রতি প্রত্যাবাসনের অংশ হিসেবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশে কাজ শুরু করেছে দাবি করছে মিয়ানমার সরকার। এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত হলেই প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার যথাযথ বাস্তবায়ন হলে হয়তো রোহিঙ্গাদের পক্ষে হারানো অধিকার ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭