ইনসাইড ইকোনমি

চামড়ার বাজারে ধস, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/08/2018


Thumbnail

এবছর কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম দামে কেনাবেচা হচ্ছে পশুর চামড়া। এজন্য মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দুষছেন আড়তদারদের। আড়তদারদের অভিযোগ ট্যানারি মালিকদের দিকে, আবার ট্যানারি মালিকরা বলছে আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে কম দামে চামড়া ক্রয় করছে।

সারা দেশে প্রায় একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া বেচা-কেনায়। লক্ষাধিক টাকার গরুর চামড়া ১ হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়নি এবছর। অথচ কয়েক বছর আগেও ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিক্রয় করা যেত অনায়াসেই। দেশে প্রায় প্রতিটা জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও পশুর চামড়ার দাম অস্বাভাবিকভাবে কমেছে। 

এবছর সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা।

কিন্তু সরেজমিনে কোরবানির সময় দেখা যায় সরকারের নির্ধারিত দামের থেকে অনেক কম দামে চামড়া কেনা-বেচা হয়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় কিনেছেন চামড়া। ঢাকার বাইরে চামড়া আরও কম দামে কেনা-বেচা হয়েছে। অথচ লবণ দেওয়া গরুর প্রতিটি চামড়া ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুটের ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় কেনা-বেচা হওয়ার কথা।

চামড়া আড়তদারদের সংগঠন হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ট্যানারি মালিকদের চামড়া কেনার আগ্রহ কম। তারা আমাদের গতবারের টাকাই এখনো শোধ করেননি। ফলে আমরাও ব্যবসায়ীদের টাকা শোধ করতে পারি নাই। 

ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ঠকানোর পাঁয়তারা করছেন আড়তদারেরা। কয়েক দিন চামড়াটা সংরক্ষণ করে রাখলেই যথাযথ দাম পাওয়া যাবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, চামড়া কেনার আগে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি, তারা প্রতি-ফুট যে মূল্য (৪০ টাকা) দিয়েছেন। সে হিসাবে চামড়া কিনে বিক্রি করতে আসলে এখন তারা উল্টো কথা বলছে। এবার লাভতো দূরে থাক আসল টাকাই তুলতে পারবো কিনা বুঝতে পারছি না। ট্যানারি-মালিক ও আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে কম দামে চামড়া কিনছেন।’  

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এবছর কোরবানির ঈদে প্রায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ পশু কোরবানি করা হয়েছে সারা দেশে। দেশের মোট চামড়ার প্রায় ৬০ শতাংশই আহরণ করা হয় কোরবানির ঈদের সময়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী এখনো চামড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত।


বাংলা ইনসাইডার/আরকে 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭