ইনসাইড ইকোনমি

ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 26/08/2018


Thumbnail

শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে। সিগারেটের প্যাকেটে ‍ব্যবহৃত পুরনো ব্যান্ডরোল সেঁটে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে চট্রগ্রামের তামাক বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালিত এই কাভার্ড ভ্যানটিতে ছিল সাহারা, জাভা, গোল্ডেন হিল, এক্সপ্রেস, রমনা ব্ল্যাক, উইলসনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট। তল্লাশির সময় ভ্যানটির কর্মচারীদের কাছে মূসক চালান দেখাতে বলা হলে, তাঁরা সেটি দেখাতে ব্যর্থ হয়। এতে মূসক কর্মকর্তারা ভ্যানটি আটক করে সিলগালা করে দেয়।

পরদিন মূসক কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট প্যাকেট যাচাই করলে প্রতিটিতেই পাওয়া যায় ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল। এনবিআর জানায়, ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল পুনরায় ব্যবহার করে আসছে। সরকারের পাওনা কর ফাঁকি দিতেই এই জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

সরকারের শুল্ক কর পরিশোধের প্রমাণস্বরূপ প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই ব্যান্ডরোল সেঁটে দেওয়া থাকে। সরকারের পাওনা রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করতেই চালু করা হয়েছে এ পদ্ধতি।

ইতিমধ্যেই ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব কর পরিশোধের জন্য কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। চিঠিতে মূসক, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ বাবদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় পর্যায়ে আঞ্চলিক কিছু তামাক বাজারজাত কোম্পানি নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে আসছে, এমন তথ্য এনবিআরের কাছে আগেই ছিল। সিগারেট খাতে শুল্ক ফাঁকি বন্ধ করতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে মূসক কর্মকর্তারা।


বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডআই 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭