`ভূতুড়ে জাহাজটি`র গন্তব্য বাংলাদেশে আসছিল

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলের কাছে একটি মালবাহী জাহাজকে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ভাসতে দেখে গত দুইদিন বেশ আলোচনা চলছিল। দু’দিন ধরে তদন্তের পর আজ (শনিবার) রহস্য ভেদ করা গেছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর । অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে তাঁরা।

মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, `ইন্ডিপেন্ডেন্স` নামে ইন্দোনেশীয় একটি পাইলট জাহাজে ১৩ জন ক্রু ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ভূতুড়ে জাহাজটির রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।’

`ভূতুড়ে জাহাজটি` ছিল উপকূল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে । জাহাজটি একা ভাসতে দেখে মারতাবান উপসাগরের কয়েকজন জেলে বিশাল বিস্মিত এবং শঙ্কিত হয়ে পড়ে । খবর দেয় পুলিশে। জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়েই গত বৃহস্পতিবার জাহাজটির কাছে ছুটে যায় মিয়ানমার নৌ বাহিনী। জাহাজটিতে উঠে দেখে সেটিতে কোনো নাবিক বা ক্রু কেউই নেই। বিশাল জাহাজটিতে কোনো পণ্যও নেই। একবারে খালি জাহাজ। শুরু হয় জাহাজটির তদন্ত ।

তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, `স্যাম রাতুলাংগি পিবি ১৬০০` নামে কন্টেইনার জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার। ২০০১ সালে তৈরি মালবাহী জাহাজটি সম্প্রতি অকেজো বলে ঘোষিত হওয়ার পর সেটিকে ভাঙার জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এটির ওজন ২৬ হাজার ৫০০ টন। এটিকে ভাঙ্গার জন্যই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে। অন্য একটি জাহাজ এটিকে তার দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ঝড়ের ভেতর পড়ে দুটো তারই ছিড়ে গেলে কন্টেইনার জাহাজটি পাইলট জাহাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের রাডারের রেকর্ড ঘেঁটে দু’টি জাহাজ দেখতে পায়। পরে অনুসন্ধানের পর উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পাইলট জাহাজটিকে খুঁজে পায়।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, তারা বিষয়টি জেনেছেন এবং নেপিডোতে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস বিষয়টি দেখছে। বর্তমানে দু’টো জাহাজই মিয়ানমারের নৌবাহিনীর কাছে আছে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ