ইনসাইড বাংলাদেশ

সমাবেশে বিএনপির ৬ শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/09/2018


Thumbnail

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনের সমাবেশে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৬টি শর্ত দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে এই ৬টি শর্ত তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে বিএনপির দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুজ্জামান আলীম।

সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বলা ৬টি শর্ত হলো, ‘এক. আমাদের শেষ কথা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। দুই. সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। তিন. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। চার. জাতীয় সংসদকে ভেঙে দিতে হবে। পাঁচ. নির্বাচনের সময় লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। ছয়. নির্বাচন পরিচালনার জন্য সামরিক বাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।’ সমাবেশে কয়েকবার একই শর্তগুলো বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যেও উচ্চারিত হতে শোনা গেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত দেশবাসী ও রাজনৈতিক সংগঠনকে আহ্বান জানাতে চাই আসুন এখন আর কোনো বিভেদ নয়, কালবিলম্ব নয়, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য, বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসুন বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে এই দুঃশাসনকে এই স্বৈরাচারকে যারা বুকের ওপর চেপে বসে আছে তাদের পরাজিত করি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আজকের সমাবেশে প্রধান অতিথি খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করেছিল। জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক শূন্যতা দূর করতে বিএনপি গঠন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভয় পায়, জিয়া পরিবারকে ভয় পায়।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য ২৪ বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। আজ আবার যুদ্ধ করছি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। এ লড়াই জনগণের ভোটাধিকার ও বাগস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লড়াই।’

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোটারবিহীন বর্তমান সরকার আবারও চায় একটি নীলনকশার নির্বাচন করতে। সে জন্য মিথ্যা মামলা, গুম-খুনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসবে যখন বিএনপিকে দমাতে পারেনি, তখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার। সেটি হলো, ইভিএম। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচন হবে, তবে সেই নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে ভোটাধিকার হরণ করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আজ এ দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বধ্য করবে।

বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে দলটির নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডসহ ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। দুপুর ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।

বাংলা ইনসাইডার/বিপি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭