ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডিজনিল্যান্ড নিয়ে অবাক করা ৭ তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/09/2018


Thumbnail

ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে অ্যানাহেইম শহরে গড়ে ওঠা ডিজনিল্যান্ড নিয়ে মানুষের আগ্রহের যেন শেষ নেই। হওয়ারই কথা। কারণ, মিকি মাউসের মতো বিশ্ব বিখ্যাত চরিত্রসহ অসংখ্য কার্টুন চলচ্চিত্রের জন্ম এখানেই। শিশু থেকে শুরু করে বুড়ো, সব বয়সের মানুষকে তাঁক লাগিয়ে দিতে পারে ওয়াল্ট ডিজনির হাতে গড়া কল্পনা আর রূপকথার মিশেলে তৈরি রাজ্য ডিজনিল্যান্ড। আসুন তবে জেনে নেই ডিজনিল্যান্ড সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।

রাসপুতিনকে ভয়

রাশিয়ার রাজ পরিবারের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব রাসপুতিন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিলেন এই ব্যক্তিত্ব। এই রাসপুতিনেরই একটি ছবি স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল ডিজনিল্যান্ডের। পার্কটির দ্য হন্টেন ম্যানশনে রাসপুতিনের ভয়ংকর এক রৌদ্রমূর্তির ছবি সংযোজনের পরিকল্পনা করেছিলেন ডিজনিল্যান্ডের ডিজাইনার মার্ক ডেভিস। তবে শেষ পর্যন্ত এই ছবিটি স্থাপন করলে রাসপুতিন ভক্তরা মামলা ঢুকে দেয়; এই ভয়ে ছবিটি আর স্থাপিত হয়নি।

পার্কের বন্য বিড়াল

গোটা ডিজনিল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশেই বেশ কিছু বন্য বিড়াল ঘুরতে দেখা যায়। রাতের বেলা এসব বিড়াল বেরিয়ে বের হলেও, দিনের বেলায়ও পার্কে আসা দর্শনার্থীরা দেখা পেয়ে যান এসব বিড়ালের। ১৯৫৫ সালে যাত্রা আরম্ভের সময় থেকেই এসব বিড়াল ডিজনিল্যান্ডের সঙ্গী। পার্ক কর্তৃপক্ষ এগুলো সরিয়ে না দিয়ে উলটো এগুলোর পরিচর্যা করে থাকে। নিয়ন্ত্রিতভাবে এগুলোর সংখ্যা ২০০টির কাছাকাছিতে রাখা হয়। মজার বিষয় হলো, টুইটারে এসব বিড়ালদের আন-অফিসিয়াল একটি আইডিও আছে।

সাবমেরিনে ভ্রমণ

ডিজনিল্যান্ডে আছে সাবমেরিনে পানির নিচে ভ্রমণের অপার সুযোগ। ১৯৫৯ সালে ৮টি সাবমেরিনের এক ফ্লিট চালু করে ডিজনিল্যান্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ডাইনামিক্স কর্পোরেশন থেকেই এই আটটি সাবমেরিন পায় ডিজনি। সে সময় ১৬ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সাবমেরিনে বরফের নিচের তলদেশ ঘুরে বেড়াতেন অতিথিরা। সেখানে ছিলো স্কুইড, শার্ক এমনকি হারানো মানব সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন। ১৯৯৭ সালে এই সাবমেরিন প্রকল্প বন্ধ করে দেয় ডিজনিল্যান্ড। এরপর ২০০৭ সালে আবার ‘ফাইন্ডিং নেমো’ নামে নতুন করে সাবমেরিন রাইড চালু করে ডিজনি কর্তৃপক্খ।

মাত্র দুবার খোলা সেতু

’স্লিপিং বিউটি’ খ্যাত ডিজনিল্যান্ড ক্যাসেলের ব্রিজটি মাত্র দুইবার খোলা হয়েছে। প্রথমবার এটা নামানো হয় যখন ডিজনিল্যান্ড চালু হয়। সেসময় ঘোড়ায় বসা এক নাইটের হুংকারে খুলে যায় ক্যাসেলের ব্রিজ। নাইটের চিৎকারে মিকি মাউসের নেতৃত্বে একদল শিশু কিশোর দৌড়ে ব্রিজ পেরিয়ে ডিজনিল্যান্ডে প্রবেশ করেন। দ্বিতীয়বার ১৯৮৩ সালের ২৩ মে এই ব্রিজটি আবার নামানো হয় যখন পার্কটিকে নতুন করে সংস্কার করা হয়।

নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত রকেট যান

যাত্রার শুরু থেকেই ডিজনিল্যান্ডে দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়াতে একটি রকেট সিমুলেটর চালু করা হয়। ৭২ ফুট উঁচু এই রকেটে চড়ার অভিজ্ঞতা অনেকটাই বাস্তবের মতো। দুর্দান্ত গতি আর ইঞ্জিনের সাউন্ড ইফেক্টের সাথে ভিজুয়াল ইফেক্ট ও বেশ নজড়কাড়া। এই রকেট সিমুলেটরটির ডিজাইন, নকশা ও কারিগরি পরামর্শ দিয়েছে জার্মানীর নাৎসি বাহিনীর সাবেক তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন উইলে লে, হেইনজ হ্যাবার এবং ওয়ার্নহার ভন ব্যারুন। উইলে নিজেও একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী ছিলেন। হ্যাবার ছিলেন জার্মানীর সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা আর ব্যারুন ছিলেন নাৎসি দলের একজন কর্মী এবং সাবেক এসএস কর্মকর্তা।

গ্রহ-নক্ষত্রে ভ্রমণ

মহাকাশে ভ্রমণের কাল্পনিক আনন্দ দিতে ডিজনিল্যান্ড নিয়ে আসছে নতুন আয়োজন। ২০১৬ সাল থেকে অবশ্য এটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ডিজনিল্যান্ড। ২০১৯ সালে এটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এটি চালু হলে, এটিই হবে ডিজনিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বিশাল মহাকাশ ভ্রমনের আয়োজন।

ভবিষ্যতের অজানা

ওয়াল্ট ডিজনি আরেকটি নতুন আকর্ষণ নিয়ে আসছে। এতে দেখা যাবে ভবিষ্যতে মানুষের আধুনিক জীবনযাত্রার পরিকল্পিত প্রতিচ্ছবি । ‘মনসেন্টো হাউজ অফ ফিউচার’ নামে ইতোমধ্যেই একটি ভবন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মনসান্তো এটি তৈরি করছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ নির্মানাধীন এই ভবিষ্যৎ বাড়িটি দেখার ভিড় জমায়।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭