নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 09/09/2018
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এড ও লরেন ওয়ারেন নামক এক মার্কিন দম্পতি ভৌতিক বিষয়ে গবেষণা করে সাড়া ফেলে দেন। তাঁদের গবেষণালব্ধ বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই নির্মিত হয়েছে আলোচিত ভৌতিক সিরিজ দ্য ‘কনজুরিং’। এ পর্যন্ত সিরিজের পাঁচটি ছবি নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ চলতি মাসের ৭ তারিখ বিশ্বজুড়ে মুক্তি পায় ‘দ্য নান’
‘দ্য কনজুরিং’ সিরিজের দু’টি ছবি ‘কনজুরিং ‘ও ‘অ্যানাবেল’ নির্মিত হয়েছে নিখাদ সত্য ঘটনার ওপর। এড ও লরেন ওয়ারেনের গবেষণার বাইরে তেমন কিছু যোগ করা হয়নি ছবিগুলোতে। `অ্যানাবেল` নামক পুতুলটি নাকি এখনো ওয়ারেনের অকাল্ট জাদুঘরে রয়েছে। বাকি ছবিগুলোও এই গবেষকদের তথ্যের আদলে নির্মিত হয়, তবে কল্পনাপ্রসূত অনেক কিছু যোগ হয়েছে। সে হিসেবে ছবিগুলোকে সত্য ঘটনা বলতে নারাজ চলচ্চিত্র সমালোচকরা। কিন্তু ‘দ্য নান’ মুক্তি পাওয়ার পর প্রশ্ন উঠে, ছবিটি কি সত্য ঘটনার উপর নির্মিত?
‘দ্য নান’ চরিত্র সন্ন্যাসিনী শয়তান ‘ভ্যালাক’র। এই চরিত্রের রেশ মূলত টেনে আনা হয়েছে ‘কনজুরিং ২’ থেকে। চরিত্রটি এতোটাই জনপ্রিয়তা পায় যে, পরিচালক কারিন হার্ডি ‘দ্য নান’ শিরোনামে একটি পুর্নাঙ্গ ছবি বানিয়ে ফেলেন। ছবিটিকে সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত বলা না হলেও, ‘ভ্যালাক’(দ্য নান) কে অনেকেই সত্যি বলে দাবী করেন। এর স্বপক্ষে যুক্তিও রয়েছে।
সতের শতকে প্রকাশিত ডেমনোলজির একটি বই অনুসারে, `ভ্যালাক` হলো ৭২ জন শয়তানের মধ্যে একজন। ক্ষমতাবলে তার অবস্থান ৬২ তম। দুমুখো একটি ড্রাগনের ওপর বসা, দেবদূত-সম পাখনাওয়ালা শিশুই হচ্ছে শয়তান ‘ভ্যালাক’। বইয়ের পাতার ঐ ভ্যালাকই হচ্ছে ‘দ্য নান’।
মুক্তির আগে থেকেই ‘দ্য নান’ কে ‘কনজুরিং’ সিরিজের সবচেয়ে ভয়ংকর ছবি বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ছবির কর্তাব্যক্তিরা। তার সত্যতাও পাওয়া যাচ্ছে। কারণ উদ্বোধনী দিনে বিশ্বব্যাপী ৫৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে ছবিটি ‘কনজুরিং’ সিরিজের মধ্যে রেকর্ড গড়েছে।
সূত্রঃ নিউজ উইক
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭