ইনসাইড বাংলাদেশ

বাস্তবের আয়নাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/09/2018


Thumbnail

বিদেশে যাওয়ার একদিন পর আদালত উপস্থিত অভিযুক্ত। জামিন আবেদন আদালত না মঞ্জুর করে পাঠালেন কারাগারে। একই ব্যক্তি একদিকে অবস্থান করছেন বিদেশে আবার কাগজে কলমে জেলও খাটছেন।

কাহিনী পরিচিত মনে হচ্ছে। মনে হতেই পারে। গত দুই বছর ধরে জনপ্রিয় ঢাকাই চলচ্চিত্র আয়নাবাজির কাহিনী যে এমনই। সিনেমার প্রধান চরিত্র আয়না (চঞ্চল চৌধুরী), যার পেশা অন্যের হয়ে জেল খাটা। তবে উল্লিখিত ঘটনা কিন্তু সিনেমার নয়। সম্প্রতি বাস্তবই এমনটি ঘটেছে, খোদ রাজধানীতেই। 

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান সম্প্রতি সরকারি সফরে ইন্দোনেশিয়া গেছেন। সেখানে থাকবেন ৯ দিন। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পরদিনই তিনি আবার ঢাকার এক আদালতে হাজির হন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আদালতে তিনি জামিন আদালত করেন। তবে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। একদিকে আনিছুর রহমান ইন্দোনেশিয়ায় এবং একইভাবে তিনি কারাগারেও অবস্থান করছেন। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব?

জানা গেছে, গত শনিবার আনিসুর রহমান ইন্দোনেশিয়া যান। পরদিন ঢাকায় বিশেষ জজ আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় মেয়রের নাম-ঠিকানা দিয়ে এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গণমাধ্যমে মেয়রের কারাগারে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু শ্রীপুরে শুরু হয় অন্য নাটক। মেয়রে তো বিদেশে, কিন্তু তাহলে কারাগারে গেল কে?

শ্রীপুর পৌরসভার সচিব বদরুজ্জামান বাদল ও মেয়রের ছোট ভাই মোকলেছুর রহমানও গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আনিসুর রহমান দেশে নেই।

অবশ্য আনিসুর রহমানের ছোট ভাই মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘মেয়রের আস্থাভাজন নূরে আলম মোল্লা নামে একজন যুবলীগ কর্মী মেয়রের নামে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গেছেন বলে শুনেছি। তবে মেয়র এখন বিদেশে। শনিবার রাতে দক্ষিণ এশিয়ার পল্লী উন্নয়নবিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দিতে সরকারি সফরে ইন্দোনেশিয়ায় গেছেন। তিনি সেখানে ৯ দিন থাকবেন।’

এদিকে নূরে আলম মোল্লা আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খানের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সময় আমাকে বলেন, আমি ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছি। তুই আমার মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা করিস। তাই আমি আদালতে এসে তার নামে আত্মসমর্পণ করি।’ তিন আরও বলেন, ‘আমি মেয়রের মামলার বিষয়ে দেখাশোনা করি। রোববার আদালতে এসেছিলাম মামলার বিষয় খোঁজ-খবর নিতে। মেয়রের অনুপ্রেরণায় আমি তার নামে আত্মসমর্পণ করেছি।’


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭