ইনসাইড ইকোনমি

ইলিশে চড়া বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/09/2018


Thumbnail

কোরবানির ঈদ চলে গেছে কয়েক সপ্তাহ। এরপরও এর প্রভাব রয়ে গেছে মাংসের বাজারে। বাজারে গরুর মাংসের ক্রেতা কম, তাই দামও তুলনামূলক কম। গরুর মাংসের বিক্রেতারা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত মুল্যের চেয়েও কম দামে বিক্রি করছে। অপরদিকে, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলেও ইলিশের দাম বেশ চড়া। ইলিশেই চড়ে আছে বাজার।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল কাঁচাবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতা একেবারেই কম। গরুর মাংস বিক্রেতা মলিন মুখে চাপাতি হাতে বসে আছে। মাত্র কয়েকদিন আগেও গরুর মাংস বিক্রি হতো কেজি প্রতি ৪৮০-৫০০ টাকায়। কিন্তু ক্রেতা কম থাকার কারণে গরুর মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫০ বা এরও কমে।

একই চিত্র দেখা যায় খাসির মাংসের দোকানে। ক্রেতা নেই বললেই চলে। তবে অপরিবর্তিত আছে খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও খাসির মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা।

বয়লার মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০-২১০ টাকায়, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫০-৪১০ টাকায়।

অনেক মুরগির দোকানগুলোতে মুরগির পাশাপাশি বিক্রি করা হচ্ছে দেশি হাঁস। আসন্ন শীত উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাঁস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি হাঁস ৩৫০-৩৭০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। তবে শিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা হয়েছে। সেইসঙ্গে, দাম বেড়েছে শসা ও বেগুনের। প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা দরের শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আবার, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৪৫-৫০ টাকা দরের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। 

অবশ্য দামি সবজি পাকা টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। বাজার ভেদে ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।যদিও গত সপ্তাহে এ সবজিটির কেজি ছিল ৯০-১০০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে গাজর ও মূলার দাম।

এছাড়া গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে উস্তা, বরবটি, কাঁকরোল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, লাউ। বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকায় এবং চিচিংগা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, কাঁকরোল ও করলা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকায়। পেঁপে ও ঢেঁড়স কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি প্রতি।

বাড়তি চাপ রয়েছে শাকের দোকানগুলোতে। প্রতি আঁটি পুঁইশাক ২০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, কচুশাক ৮ টাকা, ডাঁটা শাক ১৫ টাকা এবং লাউশাক আঁটি প্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, মাছের তুলনায় বাজারে ইলিশের সমাগম প্রচুর। তারপরও কমেনি ইলিশের দাম বরং  সরবরাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর দাম। কোরবানির পর একটানা মাংস খেতে খেতে হাঁপিয়ে উঠেছেন অনেকেই। তাইতো মুখের স্বাদের ভিন্নতা আনতে অনেকেই ইলিশে ঝুঁকেছেন। তাইতো, ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলিশের দাম। প্রতিপিস ইলিশ ৬০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি রুই মাছ ৩০০-৩৫০, কাতলা ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৫৫০-১১০০, পাবদা ৫৫০-৬০০, কৈ মাছ দেশি ২৫০ টাকা ও পাঙ্গাস মাছ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার দর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টাউন হল কাঁচাবাজারের ক্রেতা মিসেস আফসানা খাতুন বলেন, গত দুই এক সপ্তাহ ধরে কাঁচাবাজার স্থিতিশীল। তবে সবধরনের শীতকালীন সবজির দাম একটু বাড়তি। এত দাম দিয়ে সবজি কেনা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য কষ্টসাধ্য।

সবজির দাম বাড়তি প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা জালাল বলেন,  চাহিদা অনুযায়ী বাজারে এখন শীতের সবজির সরবরাহ কম। যে কারণে দাম একটু বাড়তি। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই এগুলোর সরবরাহ বাড়বে, তখন এসব সবজির দামও কমে যাবে।


বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭