ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাত্র একটি ফোনেই বদলে গেল জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/09/2018


Thumbnail

মৃত্যু একেবারে দোড়গোড়ায়। নিজেকে শেষ করে দেবে বলে ঠিক করেছিল যুবক। আর ঠিক তখনই বেজে ওঠে মোবাইল। বদলে গেল সিদ্ধান্ত। জীবন যেন এক নতুন মোড় নিল। ইতোমধ্যেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামাজিক মাধ্যমে এই যুবকের কাহিনীতে লাইকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩১ হাজার।

যুবকের নাম কেভিন। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ব্লেকের সাথে তাঁর প্রথম পরিচয়। এক সামার ক্যাম্পে প্রথমবার দেখা হয় কেভিন ওয়ালশ ও ব্লেক মুর-এর। ফুটফুটে মেয়েটি সেদিন তাকে বলেছিল, ‘কালো পোশাকে তাকে বেশ ভাল লাগছে’। এরপরই শুরু হয়ে যায় বন্ধুত্ব। তবে হাইস্কুল শেষ করার পরে বেশ কয়েক মাস যোগাযোগ ছিল না দু’জনের। নিজেদের মতোই এগিয়ে চলছিল দু’জনের জীবন।

এক সময় কেভিনের জীবনে ভর করে চরম হতাশা। আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে। আত্মহত্যা করার সব পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে। আর তখনই পরিচিত কন্ঠস্বর ভেসে ওঠে মোবাইলে। হঠাৎই পুরনো বন্ধুর খোঁজে কেভিনকে ফোন করে ব্লেক। ঐ একটি ফোন কলেই জীবনের নতুন দিশা খুঁজে পেল কেভিন।

মৃত্যুর সেই মুহূর্তেই বন্ধু ব্লেককে সব কিছু খুলে বলে কেভিন। তার হতাশার কথা। এমনকি আত্মহত্যার কথাও। উত্তরে ব্লেক শুধু এটুকুই বলে, ‘এমন কর না!

আন্তর্জাতিক এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কেভিন জানায়, রাতে ফোন ছাড়ার আগে ব্লেক বাধ্য করেছিল কেভিনকে কথা দিতে যে, পরদিন সকালে সে ব্লেককে আবার ফোন করবে। রাতে বাড়ি ফিরে মহানন্দে লিখতে বসে কেভিন— কোনও একদিন কোন ভাষায় সে ব্লেককে বিয়ের প্রস্তাব দেবে।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ব্লেককে প্রোপজ করে কেভিন, একটি কালো রঙের হিরের আংটি দিয়ে। কারণ, ব্লেকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই কালো রঙের জন্যই। এর পাঁচ মাস পরে বিয়ে করে তাঁরা। এখন বেশ সুখে শান্তিতেই বাস করছে কেভিন ও ব্লেক দম্পতি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭