লিভিং ইনসাইড

বাবা-মায়ের ঝগড়া থেকে সন্তানের জীবনঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/09/2018


Thumbnail

বর্তমান দিনগুলোতে সংসারে অশান্তি, টানাপোড়েন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই। প্রতিটি দম্পতিই আগে-পরে কিছু না ভেবেই দিন-রাত বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়ায় মেতে থাকে। এর ফলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় তালাক পর্যন্ত হচ্ছে। সংসারে অশান্তি করছে বাবা-মা। কিন্তু এর ফলে সন্তানের কি ক্ষতি হচ্ছে তা নিয়ে কি তারা কেন ভাবছে না সেটাই প্রশ্ন। 

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স ও আরলি ইন্টারভেনশন ফাউন্ডেশন যৌথভাবে একটি গবেষণা চালায়। গবেষণা বলছে, মা-বাবার প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব দীর্ঘমেয়াদে সন্তানের মানসিক বৈকল্য সৃষ্টি করে, এমনকি তা জীবনঝুঁকিতেও ফেলে দেয়। আরও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।

মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বাধা

মা-বাবার মধ্যে কলহ ও তাদের বিচ্ছেদের ফলে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সন্তানরা। মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। গবেষণায় প্রমানিত, এদের মধ্যে ডায়বেটিস, হার্টের সমস্যা, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, সমাজবিরোধী ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দিকেও ঝুঁকে পড়তে পারে এসব সন্তান। মা-বাবার ঝগড়া সন্তানকে আগ্রাসী করে তোলে, তাদের মনের ওপরে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

নিরাপত্তাহীনতা

দম্পতিদের ঝগড়াতে একে-অপরের ওপর দোষারোপ দেওয়াই যেন মূল কাজ। এই বিষয়টি সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দিতে পারে, মনের মধ্যে বিরক্তিবোধ হয়, নিজেকে উপেক্ষিত মনে হতে থাকে। এর ফলে সন্তানের মনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।

কার কাছে যাবে

এই ঝামেলার মধ্যে সন্তান মায়ের কাছে না বাবার কাছে যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ঝগড়ায় কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন সন্তানরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। মা-বাবা দুজনই সন্তানের আশ্রয়। কিন্তু তখন সন্তান আশ্রয়হীনতা অনুভব করে, এতে তীব্র মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তারা বুঝে উঠতে পারে না যে  দোষ কার, সে কার কাছে যাবে। এ নিয়ে সে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে।

ভবিষ্যতে কি হবে

সন্তানেরা প্রাথমিক আদবকেতা শেখে তাদের পরিবারের কাছ থেকে। আর যখন পরিবারটি ভেঙে যেতে থাকে, তখন তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যেতে থাকে। মা-বাবার দ্বন্দ্বের কারণে সন্তানরা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে ভয় পায়। বিয়ে, বাচ্চা, পরিবার নিয়েও ভাবতে পারে না।

পরামর্শে সন্তানদের না নেওয়া

মা-বাবা যখন কোনো কাউন্সিলর বা পরামর্শক অথবা আত্মীয়র কাছেও যান, তখন বাচ্চাদের সঙ্গে নেওয়া ঠিক নয়। কেননা এমন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে সন্তানের মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

পরিস্থিতি সামলানো

সব সম্পর্কেই টানাপড়েন থাকবে সেটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একে সুন্দর করে সামলাতে শেখা সবচেয়ে বেশি জরুরি। মা-বাবার একে-অপরের ব্যবহার দেখে সন্তানরা আচরণ শেখে। তাই তাদের সামনে পরিমার্জিত আচরণ প্রয়োজন। তাদের সামনে আপত্তিকর ব্যবহার দেখালে তারাও সেটা শিখবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭