কালার ইনসাইড

কেমন আছেন সালমান হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন পরিকল্পনাকারী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/09/2018


Thumbnail

সালমান শাহ হত্যার সবচেয়ে সন্দেহভাজন আসামী এই আজিজ মুহাম্মদ ভাই। দেশের নামকরা শিল্পপতি। অলিম্পিক ব্যাটারী, অলিম্পিক বলপেন, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম, অলিম্পিক বেকারির মালিক তিনি। 

সালমান শাহের মৃত্যুর সাথে উনার সম্পর্ক কোথায়? এই আজিজ ভাই একজন বড়মাপের প্রযোজক ছিলেন। সে সময় বেশ কিছু সিনেমা নামে- বেনামে প্রযোজনা করেন। যার ফলে সালমান শাহর পরিবারের সঙ্গেও সখ্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। জানা যায়, সালমান শাহ তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে এক ঘটনা ঘটে। এক পার্টিতে সালমান পত্নী সামিরাকে কিস করতে যায় আজিজ। তখন প্রকাশ্যে সালমান থাপ্পর মাড়েন। সেই পার্টিতে শাবনুরও তার মাসহ উপস্থিত ছিলেন । সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে এমন সন্দেহ যখন থেকে তৈরি হয়, তখন থেকেই মিডিয়ায় এই চড় মারার ঘটনা চাওর হয়। তাছাড়া সালমান শাহ এর মা নিলা চৌধুরি অভিযোগও করেছেন এই আজিজের লোকেরা সালমান হত্যাকাণ্ড বিচারের সময় তাকে এবং তার ছোটছেলেকে মারার চেষ্টা করেছিল। যার ফলে তিনি নিরাপত্তার অভাবে লন্ডনে চলে যান।

এমনকি সালমান হত্যা মামলায় তাকে দুবার গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু দুবারই তিনি ছাড়া পেয়ে যায় খুব সহজে। তবে এই আজিজ ব্যতিতও সালমানের আরও শত্রু অবশ্য ছিল । একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ফিল্ম না করায় তাকে হুমকি দেয়া হয় যা নিয়ে মৃত্যুর আগে তিনি প্রেস কনফারেন্সও করেন। দ্বন্দ্ব ছিল , সামিরার পরিবারের সঙ্গেও। অনেকে ধারনা করেন- সালমানের হত্যাকাণ্ড তার সকল শত্রুর মিলিত পরিকল্পনা। সালমান শাহ হত্যার জন্য আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করা হয় কারণ সালমান শাহর যেমন জনপ্রিয়তা ছিল। আজিজ মোহাম্মদের মতন লোক ছাড়া তার আশেপাশের অন্য কেউ এমন কথা ভাবা সম্ভব ছিল না।

সালমানের স্ত্রী সামিরা বলেছিলেন, ‘আজিজ মোহাম্মদ ভাই সালমানকে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে বলেছিলো। সালমান সেটাতে রাজি হয়নি। সে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে চায়নি।’ সেটাও কী কারণ থাকতে পারে সালমান হত্যার?

এই আজিজ মুহাম্মদ ভাই  স্বপরিবারে এখন ব্যাঙ্ককে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানেই চলছে তার ব্যবসা বাণিজ্য। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পরিবারও বাংলাদেশের স্বনামধন্য ধনী পরিবার। তার পরিবারের অনেকের বিরুদ্ধে ক্রাইমের অভিযোগ আছে। বেশ কয়েকবছর আগে উনারই আপন ভাগিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবা গডফাদার হিসাবে ধরা পড়েন এবং ৯০ বছরের সাজা পান। অভিনেত্রী দিতির স্বামী এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যা উনার  ভাইয়ের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা ও উপস্থিতিতে হয়েছে বলে শোনা গেছে। জানা যায়, এই হত্যার মূলে ছিল তখনকার রমরমা ডিশ ব্যবসা যা সোহেল চৌধুরীর পরিবারের এক চেটিয়া অধীনে ছিল- যা আজিজের পরিবার দখল করে নিতে চেয়েছিল।

সালমান শাহ হত্যার প্রায় সকল আসামীই বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। সালমানের মৃত্যুর পর তারা একে একে বিদেশে সেটেল হতে শুরু করেন। এমনকি তার স্ত্রী সামিরাও থাইল্যান্ডে ছিলেন অনেকদিন।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭