পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

দেরিতে বোলিংয়ে আসা রশিদ খান ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। লেগ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে দলীয় ৯০ রানে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। সাকিবের পড়ে মাহমুদউল্লাহই ছিলেন বাংলাদেশের জন্য শেষ ভরসা। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। দলের খাতায় ১০ রান যোগ করতে না করতেই মেহেদী হাসান মিরাজও আউট হয়ে যান। দলীয় ১১০ রানে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।

এদিকে, তামিমের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস বাংলাদেশের শুরুটা দেখে শুনেই করেছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৫ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। মুজিব উর রহমানের বলে ব্যক্তিগত ৭ রান করেন শান্ত আউট হন।

শান্ত আউট হলে ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান। তবে সাকিব-লিটনের জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলের খাতায় আরও দুই রান যোগ করতে না করতেই লিটনও আফতাব আলমের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যান। লিটন ১৪ বলে ৬ রান করেন।

ম্যাচের ১২ তম ওভারে বাংলাদেশ মমিনুলকেও হারায়। দলীয় ৩৯ রানে ব্যক্তিগত ৯ রান করে মমিনুল আউট হয়ে যান। গুলবাদিন নাইবের বলে উইকেট কিপার শেহজাদের কাছে ক্যাচ দেন মমিনুল। এরপর মিঠুনও বিদায় নেন। গুলবাদিন নাইবের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনলেন মোহাম্মদ মিঠুন। বলটি পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা মিঠুন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল লাগে স্টাম্পে। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দিলেন গুলবাদিন নাইব। এরপর সাকিব আল হাসানের প্রতিরোধ ভাঙলেন রশিদ খান। লেগ স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩৯ ওভারে ১১৩/৮

বাংলা ইনসাইডার/এসএকে