কালার ইনসাইড

এক নামে একাধিক ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/09/2018


Thumbnail

বরাবরই ছিল চবির নামে সংকট। একটি ভালো নাম ছবিকে ব্যবসায়িক সফলতাও দিতে পারে। তাইতো এই নাম নিয়ে পরিচালকদেরে মধ্যে হয়েছে রীতিমতো দ্বন্ধ। কখনোবা অনেকে নিজের ছবির নাম পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধন করে যায়। যাতে অন্য কেউ সেই নামে ছবি নির্মাণ করতে না পারেন। আকর্ষণীয় নামে অসংখ্য ছবি অতীতে নির্মিত হয়েছে। পুরনো এসব নামের প্রতি এ যুগের নির্মাতাদেরও রয়েছে ভীষণ দুর্বলতা। গল্পের প্লট ভিন্ন হলেও সেই পুরনো নামটাই ব্যবহার হয়েছে।

জিৎ অভিনীত ‘সুলতান’ সিনেমাটি খুব বেশি সফল হতে পারেনি। একই নামে সুপারহিট ছবি রয়েছে প্রয়াত নায়ক মান্নার। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া এফ আই মানিক পরিচালিত ছবিটি দারুণ ব্যবসা করেছে।

ইস্পাহানি আরিফ জাহান নিজেদের নাম নতুন করে নিজেরাই ব্যবহার করলেন। ২০০২ সালের হিট ছবি ‘নায়ক’। অভিনয় করেছিলেন মান্না ও পূর্ণিমা। পরিচালক জুটির নতুনভাবে ‘নায়ক’ নির্মাণ করেছেন। মুক্তি প্রতিক্ষীত ছিবিতে অভিনয় করেছেন বাপ্পি চৌধুরী ও নতুন নায়িকা অধরা খান।

মোস্তাফিজুর রহমান মানিক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন ‘আনন্দঅশ্রু’। শিবলী সাদিক পরিচালিত ১৯৯৭ সালের ছবি ‘আনন্দঅশ্রু’ জনপ্রিয়তা পায় সালমান শাহর কারণে। সালমান ভক্তরা নাখোশ হন মানিকের উপরে। কে অভিনয় করবেন এই চরিত্রে।

শামিম আহমেদ রনি শুরু করেছিলেন ‘রংবাজ’ ছবির কাজ। শেষ করেন আব্দুল মান্নান। নায়করাজের ১৯৭২ সালের বিখ্যাত ‘রংবাজ’র সঙ্গে অবশ্য শাকিব খানের নতুন ‘রংবাজ’র কোনো মিল নেই। ১৯৯৭ সালে নায়করাজের ‘রংবাজ’র রিমেক করেছিলেন উত্তম আকাশ। রাজ্জাক-কবরীর জায়গায় ছিলেন ওমর সানী ও মৌসুমী।

কলকাতায় শাকিব খানকে নিয়ে বানালো ‘চালবাজ’। একই নামে ওমরসানী ও শাহনাজ অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। পরিচালনা করেছিলেন শওকত জামিল।

মুক্তির অপেক্ষায় আছে শাকিব খানের ‘নোলক’ সিনেমা। একই নামে শিবলী সাদিকও একটি সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন।

ঈদে মুক্তি পেল জাজের ‘বেপরোয়া’। বড় আয়োজনে সামনে মুক্তির অপেক্ষায় আছে। অভিনয়ে রোশান ও ববি। ১৯৯১ সালে এই নামে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন কবির আনোয়ার। ইলিয়াস কাঞ্চন ও দিতি অভিনীত ছবিটি সুপারহিট ছিল।

১৯৭৫ সালে আকবর কবির পিন্টু বানিয়েছিলেন ‘বাদশা’। অভিনয় করেছেন শাবানা ও খসরু। নতুন করে জিৎ ২০১৬ সালে অভিনয় করলেন ‘বাদশা- দ্যা ডন’ ছবিতে।

রুবেল-পূর্ণিমা-শাকিব অভিনীত ‘শিকারি’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালের। পরিচালনা করেছিলেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান। ২০১৬ সালে যৌথ প্রযোজনায় ফের শাকিবকে নিয়ে নির্মাণ হয় ‘শিকারি’।

২০১৬ সালে আরো মুক্তি পায় ‘অঙ্গার’ ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ছবিটির নামে ১৯৭৮ সালে ছবি হয়েছে। পরিচালনা করেছিলেন কামাল আহমেদ।

১৯৮৪ সালে শামসুদ্দিন টগর নির্মাণ করেছিলেন ‘সম্রাট’। একই নামে ছবি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। অভিনয়ে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস।

বাবুল চৌধুরী ১৯৭৭ সালে নির্মাণ করেছিলেন ‘মা’। একই নামে কালাম কায়সার শাকিব খানকে নিয়ে ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও তার কোন হদিস নেই।

চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘অন্তরঙ্গ’ নামে একটি ছবি। একই নামে ছবি হয়ে গেছে ১৯৭০ সালেই। পরিচালনা করেছিলেন সৈয়দ আউয়াল।

১৯৬৯ সালে এহতেশাম পরিচালনা করেছিলেন ‘দাগ’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে মিম ও বাপ্পির ‘দাগ’।

১৯৬৯ সালের আলমগীর কুমকুম নির্মাণ করেছিলেন ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। একই নামে ১৯৯৩ সালে গৌতম ঘোষ নির্মাণ করেন ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। প্রথমটি থেকে দ্বিতীয়টি বেশি জনপ্রিয়তা পায়।

২০১২ সালে রেদওয়ান রনি নির্মাণ করেন ‘চোরাবালি’। বিভিন্ন শাখায় জাতীয় পুরস্কারও মেলে। ১৯৬৮ সালে উদয়ন চৌধুরী পরিচালনা করেছিলেন ‘চোরাবালি’ নামের একটি ছবি।

১৯৭৪ সালে কাজী জহির পরিচালনা করেছিলেন ‘বন্ধন’। একই নামে ১৯৯২ সালে বেলাল আহমেদ পরিচালনা করেছিলেন একটি ছবি। এতে অভিনয় করেছিলেন শাবানা, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন ও চম্পা।

১৯৬৬ সালে মুক্তিপায় কাজী জহিরের ‘ভাইয়া’। একই নামে ২০০৩ সালে এফ আই মানিক নির্মাণ করেন ভাইয়া। মান্নার ছবিটি বেশ ব্যবসাসফল ছিলো।

এক নামে একাধিক ছবি অতীতেও হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে সন্দেহ নেই। গল্পের সঙ্গে মানানসই হলে পুরনো অতীতে হাত দিন। কিন্তু সেটা যথাযথ হওয়া চাই। পুরনো সিনেমা নাম ভাঙ্গিয়ে সে নামের অপমান তো দর্শকরা মানবে না। আবার অনেকক্ষেত্রে পরিচালক কিংবা পুরনো প্রযোজকরাও সেটা মেনে নিতে চান না।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭