ইনসাইড আর্টিকেল

স্টেম সেল থেরাপি কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 31/03/2017


Thumbnail

চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তর এনেছে স্টেল সেল থেরাপি। স্টেম হল অবিভাজিত জীবকোষ, যা আজীবন আরো অনেক স্টেম সেল তৈরি করতে পারে। এই এক কোষ থেকে অনেক কোষ তৈরি হয় দুই ভাবে।

১. বিভাজন ( একটা কোষ থেকে দুটি কোষ তৈরি হওয়া)
২. পৃথকীকরণ (এক ধরনের কোষ থেকে অন্য ধরনের কোষ তৈরি হওয়া)

১৯০৮ সালে রাশিয়ান বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ম্যাক্সিমভ স্টেম সেলের ধারণা দেন। স্টেম সেল বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন এমব্রায়োনিক স্টেম সেল, যা মানুষের ভ্রূণে থাকে। ফিটাল স্টেম সেল, যা গর্ভে অ্যামনিওটিক থলিতে থাকে। অ্যাডাল্ট স্টেম সেল, যা নবজাতক থেকে পূর্ণবয়স্কদের শরীরে থাকে।

শরীরের কোনো প্রত্যাঙ্গ যদি আঘাত বা অসুখের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে স্টেম সেল সেখানে ট্রান্সপ্লান্ট করলে সেই অঙ্গ আবার আগের মতো কাজ করতে পারবে। স্টেম সেল আমাদের দেহে দেখা যায় অস্থিমজ্জা, ফ্যাট সেল, রক্তে, ত্বকে, যকৃতে এবং শিশু জন্মনোর সময় আম্বিলিকাল কর্ড ব্লাড সেলগুলোতে। যেমন মেরুদন্ডে আঘাত লেগে স্পাইনল কর্ড ছিঁড়ে গেলে শরীরের নিচের অংশ কর্মক্ষমতাহীন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদি স্নায়ুকোষ দিয়ে স্পাইনাল কর্ড আবার জুড়ে দেওয়া , তাহলে আবার প্যারাপ্লেজিক রোগীর পক্ষে হাঁটাচলা সম্ভব।

একইভাবে মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশনের ক্ষেত্রে হৃৎপিন্ডের মৃত কোষ বা সিরোসিস অফ লিভার সরানো সম্ভব। পাশাপাশি রক্তের ক্যান্সারে বোন ম্যারো ট্রন্সপ্লান্টেশন, স্টেম সেল থেরাপির সফলতম প্রয়োগ। এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, তা সফল হলে অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিই সারিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭