ইনসাইড পলিটিক্স

‘ড. ইউনূস-কামাল ভারতের লবিস্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/09/2018


Thumbnail

জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিএনপি নেতারা উল্লসিত। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে হটানোর এটাই মোক্ষম অস্ত্র। কিন্তু বিএনপির বুদ্ধিজীবী, বিএনপি পন্থী সাবেক  আমলা এবং থিংক ট্যাঙ্করা এই ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোরতর বিরোধী। তাঁরা মনে করছেন, ‘এই ঐক্য প্রক্রিয়া বিএনপিকে জিয়ার আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে নেবে। বিএনপি তার চরিত্র হারাবে।’ বিএনপি পন্থী এই সব বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, ‘ড. কামাল হোসেন ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা। তিনি একের পর এক শর্ত দিচ্ছেন এবং বিএনপি তা মেনে নিচ্ছে। এটা একটি নীল নকশার অংশ। বিএনপি পন্থী একজন বুদ্ধিজীবী বলেছেন, ‘ড. কামাল শর্ত দিয়েছে জামাতকে বাদ দিতে হবে। বিএনপি জামাতকে বাদ দিয়েছে। এরপর বলবে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতার স্বীকৃতি দিতে হবে। বিএনপি দেবে। তারপর বলবে, জাতির পিতার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে হবে, সেটাও করবে। এভাবে আস্তে আস্তে বিএনপি বিড়ালে পরিণত হবে।’

বিএনপির থিংক ট্যাংকের একটি অংশ মনে করছেন, ড. কামাল এবং ড. ইউনূস ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। কি সেই এজেন্ডা? জানতে চাইলে প্রবীণ এই শিক্ষক বলেন, ‘এজেন্ডা খুব পরিষ্কার। বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দল যেন ভারতের পক্ষে থাকে। বাংলাদেশে যেন ইসলামভিত্তিক রাজনীতি না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ইসলাম পন্থী দলগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করার মিশনে নেমেছেন ড. কামাল। এর ফলে বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক ভারত বিরোধী ভোটারদের আস্থা হারাবে।’ তাঁর মতে, ‘ইসলাম বিএনপির রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ। এখন ড. কামাল হোসেনরা সেখান থেকে বিএনপিকে সরিয়ে আনছে।’

বিএনপিপন্থী আরেক বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘ড. কামালরা বাংলাদেশে তথাকথিত সেক্যুলার রাজনীতির ধারক,বাহক। ড. কামাল হোসেনই সংবিধানে বিসমিল্লাহর সংযোজনের বিরোধিতা করেছেন। এখন তিনি বিএনপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিএনপিকে দিয়েই সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহর নাম মুছিয়ে দেবেন ড. কামাল। যে বিসমিল্লাহ সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন জিয়া।’ তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসন এবং অন্যায্য আচরণের প্রধান কণ্ঠস্বর ছিল বিএনপি। সেই কণ্ঠস্বর রোধ করতেই ভারত ড. কামাল হোসেনকে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।’

বিএনপির গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত একজন বলেছেন, ‘নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসব বোগাস। এরশাদকে হটাতে নয় বছর আন্দোলন করতে হয়েছে। সেখানে একমাসের নোটিশ দিয়ে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা হাস্যকর।’ তাঁর মতে, দেশের সব রাজনৈতিক শক্তিকে ভারতের পদানত করতেই এই পদক্ষেপ।’ এ প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ’৮৬ এর নির্বাচনে যেতে ড. কামালই শেখ হাসিনাকে বাধ্য করেছিলেন। ঐ এজেন্ডা তিনি ভারতের ইশারায় বাস্তবায়ন করেছিলেন। তখন ঐ নির্বাচন এরশাদের অবৈধ শাসনকে বৈধতা দিয়েছিল। এখন ড. কামাল জাতীয় ঐক্যকেও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে নিতে বাধ্য করবেন। এটাই ভারতের এজেন্ডা।’ জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সমালোচনামূলক বক্তব্যকে ঐ বুদ্ধিজীবী ‘সাজানো নাটক’ বলে মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগ তো ফখরুল-মঈন এর অনির্বাচিত সরকারেরও সমালোচনায় মুখর ছিল। কিন্তু ঐ সরকারই তো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭