পরকীয়া নিয়ে বিভিন্ন দেশের আইন

পরকীয়া এখন আর অপরাধ নয়। সম্প্রতি এমনই এক রায় ঘোষণা করেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। তবে অপরাধ না হলেও বিবাহ বিচ্ছেদ ও বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের কারণ হতে পারে পরকীয়া। অন্য দেশগুলো কী বলছে পরকীয়া নিয়ে? কী আইনই বা রয়েছে সেই দেশগুলোতে।

ইউরোপের দেশগুলো আর অস্ট্রেলিয়াতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অপরাধের নয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০ টি রাজ্যে পরকীয়া এখনও অপরাধ। তবে এ অপরাধের কারণে খুব বেশি জরিমানা বা শাস্তির বিধান নেই। আসুন জেনে নেই পরকীয়া নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন সম্পর্কে:

ফিলিপাইন

ফিলিপাইনে পরকীয়াকে এখনও অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্বামী দ্বারা পরকীয়ার অপরাধ প্রমাণিত হলে স্ত্রী আর তাঁর সঙ্গীর ৬ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। অন্য দিকে আবার স্বামীর অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক যদি স্ত্রী প্রমাণ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে স্বামীর ৪ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

চীন

চীনে পরকীয়া অপরাধ নয়। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে চীনের বিবাহ আইনের ৪৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন।

সৌদি আরব

সৌদি আরব এবং সোমালিয়ার মতো মুসলিম দেশগুলোতে পরকীয়াকে বিরাট অপরাধের চোখে দেখা হয়। স্বামী বা স্ত্রী যে কারও অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা, নির্বিচার আটক, জেল, মারধর এমনকি মৃত্যদণ্ডও হতে পারে।

পাকিস্তান

১৯৭৯ সালের হুদুদ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী পাকিস্তান পরকীয়াকে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে। তবে পাকিস্তানে পরকীয়ায় মহিলাদের শাস্তির পরিমাণ বেশি।

দক্ষিণ কোরিয়া

২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়াও জানিয়ে দিয়েছিল যে, পরকীয়া অপরাধ নয়। ৯ জন বিচারকের বেঞ্চ ১৯৫৩ সালের পরকীয়া সংক্রান্ত পুরনো আইনটিকে বাতিল করে দেয়। সেই আইনে স্বামী বা স্ত্রী দোষী প্রমাণিত হলে তিন বছর অবধি জেল হত।

তাইওয়ান

পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে পরকীয়া বরাবরই অপরাধ। এ অপরাধে স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ ধরা পড়লে এক বছরের জেল হয়। তাইওয়ানিজ পুরুষরা পরকীয়ায় ধরা পড়লে তাঁরা সাধারণত স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইত। কিন্তু এমন ঘটনা মহিলাদের সঙ্গে ঘটলে তাঁদের আদালত অবধি ছুটতেই হত।

বাংলা ইনসাইডার