ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লন্ডভন্ড ইন্দোনেশিয়া, মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/09/2018


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্প ও সুনামির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০৮ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর বেশ কয়েকবার মৃদু কম্পনে কেঁপে উঠছে দ্বীপটি।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র সুতোপো পুরও নুগরোহো বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর যখন সুনামি সতর্কতা জারি করা হয় তখনও মানুষ সৈকতে তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই প্রকাণ্ড ঢেউ যখন উপকূলে আছড়ে পড়ে তখন তারা আর দৌড়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি।’

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুনামিতে উপকূলীয় শহর পালুর বেশিরভাগ বাড়িঘর, সেতু ও হাসপাতাল ধসে পড়েছে। তাঁবুর মাধ্যমে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বহু মানুষ এখনো ধ্বসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে গোটা শহর। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
সুলাওয়াসি দ্বীপের পালু শহরটি পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় নিহতদের মধ্যে বহু পর্যটক রয়েছে বলে জানা গেছে। সুনামির আগে সৈকতে কয়েকশ মানুষ শহরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘বিচ ফেস্টিভ্যালের’ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই ভূমিকম্পের পর ১০ ফুট উঁচু ঢেউ শহরকে ভাসিয়ে নেয়।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বিকেলে সুলাওয়েসি দ্বীপে মাঝারি মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। কিছুক্ষণ পরই ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আর একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তবে এক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করা হয়। সতর্কতা প্রত্যাহারের পরপরই সুনামি আছড়ে পড়ে বলে জানা গেছে।

এর আগে ২০০৪ সালে ভয়াবহ সুনামির ঘটনায় ১৩টি দেশে ২ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই অন্তত এক লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭